বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ :: আগামী ২০ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়নের জনগণের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার। সেই সাথে প্রার্থীরা বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন জনগণকে।
আজ রোববার (৪ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাচন অফিসের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ৪ জন প্রার্থীর প্রতীক ঘোষণা করেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের ভোটে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী মাহমুদ আহমদকে ও ১৯ সেপ্টেম্বর দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি থেকে ধানের শীষের প্রার্থী আফজল হোসনকে সমর্থন দিয়ে ছিলেন। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতীক ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহতাব উদ্দিন জেবুল আনারস ও আব্দুল আলীম তুহিন ঘোড়া মার্কা পেয়েছেন।
রোববার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, প্রতীক ঘোষণার আগেই ৪ জন প্রার্থীর বিপুল সংখ্যক সমর্থকেরা আলাদা আলাদা ভাবে নৌকা, ধানের শীষ ও আনারস স্লোগানে মুখরিত করেছেন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ।
এর আগে সকাল ১১টার আগেই ৪ জন প্রার্থীর বিপুল সংখ্যক সমর্থক মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল – সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। প্রতীক ঘোষণার পর স্লোগান দিতে দিতে তারা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
নৌকার প্রার্থী মাহমুদ আহমদ প্রতীক ঘোষণার পর পরই দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করলে ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে নিয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ধানের শীষের প্রার্থী আফজল হোসেন বলেন, যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করবেন৷ তিনি ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাহতাব উদ্দিন জেবুল বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছি। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোটে জয় লাভ করব ইনশাআল্লাহ।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আলীম তুহিন বলেন, জনগণ আমার সাথে আছে। আমি আশা রাখি এই নির্বাচনে জয় লাভ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব।
৪ জন প্রার্থীর বেশ কয়েকজন সমর্থকের সাথে কথা হয়। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সেই সাথে তারা নিজ নিজ প্রার্থীদের বিজয়ী করে মাঠ ছাড়বেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য গত ৪ জুন লক্ষীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ মুসন মারা যাওয়ার পর চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়ে যাওয়ার কারণে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।