Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-10-16T19:31:32Z
সিলেট

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বিতর্কিত নতুন ইনচার্জকেও বদলি!

বিজ্ঞাপন

জিভয়েস২৪ ডেস্ক: রায়হান হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে এখন সিলেটজুড়ে আলোচনায় সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়ি। রায়হান আহমদ হত্যার দায়ে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসনেকে এই ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়। এরপর বনন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই শাহিন মিয়াকে। 

এসআই শাহিন মিয়াকে বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রদানের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এই পুলিশ কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-জোয়া খেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। শাহিনের জোয়া খেলার ছবিও শুক্রবার দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সমালোচনার প্রেক্ষিতে এসআই শাহিনকে বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্ব থেকে শুক্রবার অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তবে শাহিন মিয়াকে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, শাহিনকে বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এখনও এই ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেব কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এসআই শাহিনকে বিমানবন্দর থানায় বদলি করা হয়েছে।


জানা যায়, শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে জুয়া, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ থাকাকালে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহিনকে প্রত্যাহার করে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। এরপর দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলী বাস টার্মিনাল ফাঁড়িতে বদলি হন তিনি। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে শাহিন বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কদমতলীতে এক বছর দায়িত্ব পালন শেষে বদলি হন নগরীর শাহপরান থানায়। দায়িত্ব নেন উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির। এরপর বদলি হয়ে যান এসএমপির মোগলাবাজার থানাতে। সেখানে গিয়ে আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব পান তিনি। এর ৫-৬দিন পরই বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের ফলে নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর। যিনি বরখাস্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন।

এরপর বুধবার বিকালে এসআই শাহিনকে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব দেয় এসএমপি পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে এসআই শাহিন মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর রাতে মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য বন্দর ফাঁড়িতে নির্যাতন করে রায়হান নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন। আকবরের নেতৃত্বে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আকবরসহ ৪ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর আকবর পালিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ