বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। তবে তার আগে এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
কারা আসছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে? রাজপথে যারা সব সময় আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন; তারা কি সঠিক মূল্যায়ন পাবেন? নাকি ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সমালোচনার কমিটি হবে? এসব বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের পদপ্রত্যাশীসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চলছে আলোচনা। উপজেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটিতে শেষ পর্যন্ত কারা আসছেন জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।
গত ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ৩ বছর মেয়াদি কমিটিতে সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীকে সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদকে আবারও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়।
এতদিন পূর্ণাঙ্গ ছাড়া ছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। তবে এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য তারিখ বেধে দিয়েছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ। গত (৬ ফেব্রুয়ারি) শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় আগামী ১ মার্চের মধ্যে জেলার দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ প্রত্যাশী বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের স্থান দেয়া হবে। যারা আওয়ামী লীগের হয়ে সব সময় মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। ত্যাগী নেতাদের ছাড়া কমিটি হলে আমরা সেটি কখনো মেনে নিব না।’
তারা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে সমালোচনাবিহীন একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে।’
পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক আহমদ বলেন, ‘একটি আধুনিক কমিটি গঠন করা হবে। যা আপনারা কমিটি আসার পর দেখতে পারবেন। বিশেষ করে যোগ্য, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা নেতাদের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিদিন অনেকে ফোন করেন। সবাইকে তো আর কমিটিতে রাখা যাবে না। আমরা সুন্দর একটি কমিটি জেলার দপ্তরে প্রেরণ করব।’