বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : বিদ্যায়লটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫২ সালে। যে বছর শহিদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। চেতনা, গৌরব, আত্মত্যাগ ও ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষা আন্দোলনের মাসে বিদ্যায়লটি প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ ৬৮ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদমিনার থেকে বঞ্চিত গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেরপুর ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
কুশিয়ারা অঞ্চলের এক অবহেলিত ইউনিয়ন হচ্ছে শরিফগঞ্জ। আর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেহেরপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেন। যুগ যুগ ধরে এই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে এ গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী আজ দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটির সবকিছু কালের বিবর্তনে পরিবর্তন হচ্ছে। উন্নয়নের কিছুটা হলেও ছোঁয়া লেগেছে এ বিদ্যালয়টিতে। সবকিছু পরিবর্তন হলেও একটি শহীদমিনারের অভাব দীর্ঘ এত বছরেও যায়নি। বিগত দিনে যারা এ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছিলেন তারা শহীদমিনার কি কারণে দরকার সেটি জানা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে সবকিছু হলেও হচ্ছে না শহীদমিনার। বর্তমানে যে সকল শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে তারাও শহীদমিনারের গুরুত্ব জানা থেকে বঞ্চিত।
সরেজমিন শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন শ্রেণি কক্ষ গুলো একেবারেই ভাঙাচোরা। দরজা আছে তো জানালা নাই। জানালা থাকলেও সেগুলো একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী। তবে এ শ্রেণি কক্ষ গুলো নতুন ভবন হওয়ায় এখন আর ব্যবহার করা হয় না বলে জানা যায়। তবে নতুন ভবন হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে। হচ্ছে না শহিদ মিনার।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছানি আহমদ বলে, এ বছর পর আমিও পাশ করলে বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ হয়ে যাবে। তবে একটি আক্ষেপ থেকেই যাবে। যেটি হলো গত ৫ বছর থেকে পড়ালেখা করলেও শহীদমিনারে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী আশরাফ বলেন, ২০১০ সালে ৫ম শ্রেণি পাশ করি এ বিদ্যালয় থেকে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে শহীদমিনারে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত ছিলাম। এলাকায় অনেক প্রবাসী আছেন, তারা কয়েকজন মিলে এত বছর পরেও বিদ্যালয়ে একটি শহীদমিনার স্থাপন করলে ভাল হয়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাব্বির আহমদ জিভয়েস২৪ কে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। তবে আমাদের শহীদমিনারের জন্য জায়গা কিছুটা সংকুলন। জায়গার ব্যবস্থা হলে আমরা বিষয়টি তাদেরকে অবগত করব।