Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-05-31T20:01:14Z
গোলাপগঞ্জলিড নিউজ

গোলাপগঞ্জের যুবককে খুন করে 'ছয় টুকরো' করলেন স্ত্রী

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর মহাখালীর আমতলীর কাঁচাবাজারের পাশে মসজিদ গলি থেকে নীল ড্রামের ভিতরে বস্তাবন্দি হাত-পা-মস্তকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। মরদেহের কাটা হাত-পা-এবং মাথা উদ্ধার করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম ময়না মিয়া (৩৮)। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী গ্রামে। 
তিনি মরহুম তোতা মিয়ার ছেলে। সোমবার  (৩১ মে) মরদেহের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া।

এদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, ময়না মিয়ার প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তার পারিবারিক কলহের জের ধরে তাঁকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় ময়না মিয়ার স্ত্রী ফাতেমাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির গুলশান বিভাগ। 

তারা জানায়, হত্যার পর ফাতেমা ময়না মিয়ার মরদেহকে ছয় টুকরা করেন। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রাজধানীর মহাখালী ও বনানীতে ফেলে যান।

ময়না মিয়া নিজে অটোরিকশা চালাতেন। কখনো কখনো অটোরিকশা ভাড়াও দিতেন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তাঁর প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বনানীর কড়াইল এলাকায় থাকেন। ময়না মিয়ার আরেকজন স্ত্রী রয়েছেন। তিনি থাকেন কিশোরগঞ্জে।

ডিবি জানায়, রাজধানীর মহাখালীতে গত রোববার রাতে ফেলে যাওয়া একটি প্লাস্টিকের ড্রামে হাত-পা-মাথা ছাড়া একটি লাশ পাওয়া যায়। বৃষ্টির মধ্যে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ড্রামটি ফেলে যাওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান।

ড্রামের ভেতর বিছানার চাদর মুড়িয়ে লাশের টুকরাগুলো রাখা হয়েছিল। পরে গত সোমবার ভোররাতে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করা হয় চার হাত-পা। এরপর বনানী ১১ নম্বরে সেতুর পূর্ব পাশের লেক থেকে ভাসমান অবস্থায় একটি মাথা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ লাশের টুকরার আঙুলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত হয় যে লাশটি ময়না মিয়ার। ডিবি আরও বলছে, ছয়টি টুকরাই ময়না মিয়ার বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার ফাতেমাই ময়না মিয়ার মাথাটি কোথায় ফেলা হয়েছে, তা দেখিয়ে দেন। ফাতেমার অভিযোগ, ময়না মিয়া তাঁকে সময় দিতেন না। শুধু টাকা চাইতেন। এসব কারণে তাঁদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর জের ধরেই তিনি ময়না মিয়াকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডটি ফাতেমা একাই করেন।

ডিবি এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ