ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথে মাইকিং করে গ্রামবাসী ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে অটোরিকশাচালক দিলোয়ার হোসেন ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের কৃষক ওয়ারিছ আলীর স্কুলপড়ুয়া ছাত্র লোকমান হোসেনের (১৭) মধ্যে ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লোকমান হোসেনের পক্ষে আহতরা হলেন, বুরহান উদ্দিন (২৮), একই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে জমির আলী (৩১), আব্দুল খালিকের ছেলে শাকিব আহমদ (১৯), আজর আলীর ছেলে একলাছ মিয়া (৪৮), শমশের আলীর ছেলে একরামুল (১৯), আব্দুল কাদিরের ছেলে শাহজাহান (২০) ও নুর উদ্দিনের শিশুপুত্র জিসান আহমদ (১০) আহত হয়েছেন।
অপর পক্ষের আহতরা হলেন, অটোরিকশাচালক দিলোয়ার হোসেন (১৯), রিকশাচালক লয়লু মিয়া (৩০), চান মিয়া (৩৩), মাছুম মিয়া (২২), মৌরশ আলী (২৫) ও আলমগীর হোসেন (২৬)। বাকি আহতদের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, রামপাশা ও রাজাগঞ্জ বাজার সড়কে তেঘরি গ্রামে দিলোয়ার হোসেনের ব্যাটারিচালিত রিকশার সঙ্গে স্কুলছাত্র লোকমান হোসেনের রিকশা-ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে রিকশাচালক দিলোয়ার হোসেন রামপাশা বাজারে গিয়ে তার স্ট্যান্ডের সবাইকে অবগত করে।
এসময় রিকশা চালকরা একত্রিত হয়ে রামপাশা কোনাপাড়া গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে স্কুলছাত্র লোকমান হোসেনের টমেটো ক্ষেতে গিয়ে হামলা চালায়। এতে দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয়রা চেষ্টা করছেন।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে খাজাঞ্চী ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন ও রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।