Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-05-13T12:45:28Z
গোলাপগঞ্জ

কুশিয়ারা নদীর শিকপুর খেয়াঘাটে বৈঠা বেয়েই চলে তাদের সংসার

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ : প্রায় ১৫ বৎসর থেকে কুশিয়ারার বুকে বৈঠা বেয়েই চলছে সেলিম আহমদের ৬ জনের সংসার। ৪ সন্তান আর স্বামী-স্ত্রী মিলে ৬ জনের পরিবার।

সেলিম আহমদ বলেন,' ১৫ বছর থেকে কুশিয়ারার বুকে নৌকা চালাই। যখন ফেরি ছিল তখন মানুষের যাতায়াত বেশি ছিল। সে সময় প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টাকা আয় হতো। অনেক ভ্রমণ পিপাসুরা নৌকা ভাড়া করে নদী ঘুরতেন। ফেরি বন্ধ হওয়ার পর থেকে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে কমে আসে প্রতিদিনের আয়। এখন প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা আয় হয়। যা দিয়ে সংসার চালানো কোন ভাবেই সম্ভব নয়। খেয়ে না খেয়ে কোন রকম দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। 

শুধু সেলিম আহমদ নয়। কুশিয়ারা নদীর শিকপুর ফেরি ঘাটে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারী বাজার ইউনিয়নের কালীজুড়ী গ্রামের ৪০-৫০ জন মাঝি বারকি নৌকা চালান৷ এ নদীতেই নৌকা বেয়ে চলে তাদের একেকজনের পরিবার। 

সরেজমিন কুশিয়ারা নদীর শিকপুর ফেরি ঘাটে গেলে দেখা যায়, ভরদুপুরে খায়ে খাটে বাঁধা রয়েছে ৮-১০ টি বারকি নৌকা। অপেক্ষা করছেন যাত্রীদের। 

এসময় বেশ কয়েকজন নৌকার মাঝির সাথে কথা হয়৷ তারা জানান-'যখন কুশিয়ারার শিকপুর ফেরি ঘাটে ফেরি চলত তখন আয় ছিল। ফেরি বন্ধ হওয়ার পর থেকে মানুষের যাতায়াত কম হওয়ায় আয়ও কমে গেছে। এখন যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। এর উপর প্রতি বছর কুশিয়ারার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারাতে হয়। নিঃশ্ব হতে হয় একেকটি পরিবারকে। নদীর পাড়ের বাসিন্দা হিসেবে আমরা খুবই অবহেলিত। সব সময় সরকারি সহযোগিতা পাই না।

ইউনুছ আলী নামের আরেকজন বলেন-'৯ জনের পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। নৌকা চালানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টসাধ্য।'

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ