Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-02-17T21:01:42Z
বিনোদন

অংকিতার সাফল্যের গল্প

বিজ্ঞাপন

গোলজার আহমদ হেলাল : দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী অংকিতা ভট্রাচার্য।এপার বাংলা আর ওপার বাংলার গৌরব ও অহংকার কন্ঠশিল্পী অংকিতার গৌরবগাঁথা সাফল্যের কাহিনী নতুনদের প্রেরণা শক্তি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার গোবরডাঙার মেয়ে অংকিতা ভট্রাচার্য। ছোট থেকেই গানের চর্চা শুরু হয় তাঁর। মায়ের কাছেই হাতেখড়ি। তারপর থেকেই বিভিন্ন রিয়্যালিটি শো তে অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। প্রথমদিকে ব‍্যর্থতাই ছিল সঙ্গী। তবু হাল ছাড়েননি তিনি। চেষ্টা করে যেতে থাকেন। ভিড়ে ঠাসা বনগাঁ লোকালে করে গান শিখতে আসেন কলকাতায়। নানান প্রতিকূলতার পাশাপাশি ছিল অর্থনৈতিক বাঁধাও।তবে লেগে থেকেছেন সব পরিস্থিতিতে। 

এরপর Zee Bangla‘র জনপ্রিয় Reality Show Sa Re Ga Ma Pa তে অডিশনের মাধ‍্যমে সুযোগ পান। এবং ওই কম্পিটিশন এর বিজয়ী হন।অঙ্কিতা এই মুহুর্তে অত‍্যন্ত জনপ্রিয় সিঙ্গার। অঙ্কিতার এমন সাফল‍্যের গল্পই বিগত ৫ ফেব্রুয়ারী জী বাংলার জোশ টকসে তাঁর নিজের মুখেই শোনা যায়।

অংকিতা জানিয়েছেন কঠিন পরিস্থিতিতেও তাঁর গানের প্রাকটিস করে যাওয়ার কথা।ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজার সময় অংকিতার এমন গল্প তাঁর শক্তিশালী প্রেরণা ও অনুপ্রেরণার কথাই জানান দিয়ে যায়।সারেগামাপা বিজয়ী অংকিতা ইতোমধ্যে সকলের বাটিতে স্থান করে নিয়েছেন।তিনি শুধু টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ নন, পুরো ইন্টারনেট বিশ্বে মোস্ট পপুলারিটি অর্জনের মাধ্যমে নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন তাঁর শিল্পকর্ম দিয়ে।তাঁর কমলা,মাংকি মাংগে ও নয়া দামান মিলিয়ন মিলিয়ন দর্শক হিট করেছে।জোশ টোকস বাংলার এ কাহিনী পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা দিয়ে যাবে।

আমাদের সকলের প্রিয় অংকিতা ভট্রাচার্য।এপার বাংলা–ওপার বাংলার কন্ঠ শিল্পী।পড়াশোনা করছেন ইতিহাস বিভাগে।সম্মান ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত।নৃত্য শিল্পীও বটে।কারণ,ড্যান্স বা নাচ দিয়েই অংকিতার এ পথে যাত্রা শুরু হয়।পরে গানকে বেছে নেয়া হয়।তবে নাচ,নৃত্য প্রিয় অংকিতাকে ছেড়ে যায় নি।

গোবরডাঙ্গার মেয়ে, গ্রামের মেয়ে অংকিতা।এখন কলকাতা শহরে বসবাস করছেন। সারেগামাপা বিজয়ী অংকিতার মা-বাবাকে গ্রামের লোকজন বলত,”মেয়ে তো গান শিখে লাভ কি।দু’দিন পর বিয়ে হয়ে যাবে।পড়াশুনা করাও।”এ নিয়ে তাঁর মা-বাবাকে পাড়া-পড়শীর অনেক কথা শুনতে হয়েছে।এগুলো স্বচক্ষে দেখে অংকিতার মন যেমন বিষিয়ে উঠছিল,অপরদিকে গানে ক্যারিয়ার গড়তে অংকিতার সাহস বেড়ে গিয়েছিল।নিজেই নিজের কাছে অঙ্গীকার করে ফেলেছেন,এ পথে জয়ী হতেই হবে।পেছনে তাকানো যাবে না।

অংকিতার পরিবারের অনেকেই ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার।ভাল ভাল ক্যারিয়ারের পেশাজীবী আছেন।সে ই শুধু গানে এসেছে।এতে তাঁর অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে।বাবার যখন চাকুরি ছিল না তখন তাঁর বাবা পঞ্চাশ টাকা পেলে পঁচিশ টাকা রাখতেন গানের ক্লাসে যাওয়া আসা করতে অংকিতার নাস্তার জন্য।আর পঁচিশ টাকা রাখতেন তাঁর যাতায়াতের জন্য।

ছোট্র মেয়ে অংকিতা।ছোট বয়সেই সারেগামাপা বিজয়ী হয়েছেন।কলকাতা-পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী সম্প্রদায়ের প্রিয় শিল্পী। হিন্দু পরিবারের সন্তান অংকিতা যেন একটি ফুল।একটি পুষ্প।অনন্য অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী সদা হাস্যময়ী প্রাণবন্ত অংকিতা এগিয়ে যেতে চান বহুদূর, অনেক দূর।

অংকিতা একেবারেই সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত।অংকিতা অত্যন্ত স্মার্ট গার্ল।তাঁর কথা-বার্তা,চলন- বলন,বাচন-ভঙ্গী ও নাচে গানে অসাধারণ মেধা ও প্রতিভার কথাই জানান দিয়ে যায়।অংকিতা গানের মাধ্যমেই ইতোমধ্যেই দু’বাংলার শ্রোতা-দর্শকদের ভালবাসা অর্জন ও মন জয় করেছেন।বিশেষ করে অংকিতা ভট্রাচার্য বাংলাদেশকে খুব ভালবাসেন।

ছোট্র মেয়ে কোমলমতি অংকিতা অনেক বড় হও তুমি।তোমার সফলতায় দু’বাংলার আকাশ আলোকোজ্জ্বল হোক।নাচে ও গানে ঐতিহ্য আর শেকড় যেন মিশ্রিত থাকে প্রাণে প্রাণে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ