Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-02-23T12:06:02Z

গোলাপগঞ্জে ভুল তথ্যে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ছায়ারুন্নেছার বিরুদ্ধে ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উপজেলার পৌর শহরের একটি হলরুমে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাদেশ্বর ইউনিয়নের নালীউরি গ্রামের আব্দুল মতিন। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, আমাদের গ্রামের মৃত ফজির উদ্দিনের স্ত্রী ছায়ারুন নেছা ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ছায়ারুন্নেছা মুক্তিযোদ্ধার সাথে জড়িত ছিলেন না। এব্যাপারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাও একমত। ছায়ারুন্নেচ্ছা যে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।

কোন তদন্ত ছাড়াই ছায়ারুন্নেছার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে লিপিবদ্ধ হয় কিভাবে, যা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, এই মহিলা যে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা এজন্য স্থানীয় ভাদেশ্বর মুক্তিযোদ্ধা সংসদও বিগত সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু এসব অভিযোগের কোন পাত্তা না দিয়ে কিভাবে একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকাায় আসে তা আমাদের জানা নেই। 

তিনি বলেন, আমাদের নালীউরি গ্রামে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলাম। আমাদের গ্রামে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর যখন যুদ্ধ হয়েছিল তখন ছায়ারুন্নেছা সহ তার পরিবারের কাউকে মুক্তিযুদ্ধে কোন অবদান রাখতে দেখিনি। গ্রামের মুক্তিযোদ্ধারাও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। 

তিনি প্রশ্ন করেন, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও কিভাবে একজন গৃহিনী মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট পান? বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, ছায়ারুন্নেছার উত্তরাধিকারী ছেলে সন্তানরা কিভাবে আজও ভাতা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন? কারা তাদের সহযোগিতা করছেন? তদন্ত করে সঠিক বিষয় জেনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের লজ্জা থেকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে আমাদের একটাই আকুল আবেদন। 

এসময় সংবাদ সম্মেলনে গোলাপগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল আহাদ বলেন, ভাদেশ্বর ইউনিয়নে ৮২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তারা কেউ জানেনা ছায়ারুন্নেছা কোথায় কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অনেকবার এই মহিলার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, আব্দুর রহমান, কবির উদ্দিন, মোঃ আব্দুল হাই, জমির আহমদ, আব্দুর রউফ।

অভিযোগের ব্যাপারে ছায়ারুন্নেছার পুত্র সাইদুর রহমান জানান, আমার মা ৪নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একটি পক্ষের সাথে ব্যক্তিগত সমস্যা চলছিল, এর জের ধরে এই পক্ষটি এই সংবাদ সম্মেলন করেছে।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ