Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-04-23T21:50:29Z
বিয়ানীবাজারলিড নিউজ

‘পুষ্পা’ ও ‘চমলক্কতে’ জমজমাট বিয়ানীবাজারের ঈদ বাজার

বিজ্ঞাপন

মিসবাহ উদ্দিন : প্রতি রমজানের ঈদের বর্ণিল পোশাক নকশায় যতটা না রঙ ছড়ায় তার চেয়ে ঢের আকর্ষণীয় বা বাহারী নামে মাতিয়ে তুলে ঈদ বাজার। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বর্ণিল পোশাকে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বাহারী নামে। ভাইরাল নামগুলো দিয়েই বাজারে এসেছে মেয়ের পোশাক পূষ্পা-চমলক্ষি ও কাঁচাবাদাম,পাগলী ।

ভাইরাল হওয়া এসব নামের পোশাকে আড়াল পড়েছে গত তিন বছর ঈদ বাজার মাতিয়ে রাখা বাহুবলী-২, বাধী বন্ধন। তবে এবার ঈদের বাজারে সারারা, গারারাসহ আরো কিছু আকর্ষণীয় পোশাক ঈদ বাজারে শোভা ছড়াচ্ছে। মহামারি করোনার কারণে গত দুই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রমজানে ব্যবসা করতে পারেননি বিয়ানীবাজারের ব্যবসায়ীরা। সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় দোকান খুলতে পারেননি তারা। ফলে গত দুই বছর ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার তারা আশায় বুক বাঁধছেন। সারাদেশ ঘুরে বাছাই করে নিয়ে আসছেন পছন্দের পোষাক। প্রতিদিন গাড়ি বোঝাই করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মালামাল আনা হচ্ছে শহরে। 

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাজার জমে ওঠার অপেক্ষায় আছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার চাঙা করতে ব্যবসায়ীরা নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিপণিবিতানগুলোতে সাজসজ্জা করা হচ্ছে। ঈদ মোবারক জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। মার্কেট, শপিং মল ও বিভিন্ন দোকানের সামনে করা হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা।
মূলত ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই গত কয়েক দিন ধরে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলোতে বাহারি সাজ দেখা যাচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরশহরের জামান প্লাজা, হাজী আব্দুস সাত্তার শপিং কমপ্লেক্স, আল-আমিন সুপার মার্কেট, আজির মার্কেট ও প্লাজার মতো বড় মার্কেটগুলোর সামনেও প্রবেশদ্বার তৈরি করা হয়েছে আলোকসজ্জা। 

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় দীর্ঘ দুই বছর পর তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে পারছেন। গত দুই বছর করোনার কারণে তাঁরা ঈদে ব্যবসা করতে পারেননি। এ জন্য এবার আগাম সাজসজ্জা করে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছেন। 

জামান প্লাজার ব্যবসায়ী বিশাল ব্রান্ড এর স্বত্বাধিকারী নাজিম  উদ্দিন বলেন, সারা বছরের মধ্যে ঈদুল ফেতর উপলক্ষেই ব্যবসা হয় বেশি। বিশেষ করে- কাপড় ব্যবসায়ীদের জন্য রোজার ঈদ বছরের বড় ব্যবসার মৌসুম। তবে দুই বছর ধরে করোনার বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসা সেভাবে জমে ওঠেনি। অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্তে ও কেনাকাটা করতে পারেননি। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ক্রেতাদের সমাগম ভালো হবে বলে আশা করছি। 

বিয়ানীবাজারের ব্যবসায়ী নেতা রেজাউল করিম শামীম বলেন, গত দুই বছর ছিলো প্রাণঘাতি করোনার দাপট। তবে আল্লাহর অশেষ দয়ায় এবার তা নেই। তাই গত দুবছর ব্যাপক লোকসান হলেও এবার ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বাঁধছেন। কিছুটা হলেও এবার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ