Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-09-02T14:38:31Z
লিড নিউজসিলেট

ডিজিটাল সিলেট নগরীর ট্রাফিক সিস্টেম এখনো এনালগ

বিজ্ঞাপন

জাহিদ উদ্দিন : দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল’ সিটি সিলেটে এখনও ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়নি। আধুনিক এই শহরে লাল, নীল ও সবুজ বাতির বদলে ‘এনালগ’ পদ্ধতিতে হাতের ইশারা ও বাশিতেই সড়কের শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করছে ট্রাফিক পুলিশ। এতে করে নগরীর যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ। ২৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নগরীতে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ যানবাহন চলাচল করে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হলেও দীর্ঘদিন সিলেটে নগরীতে চলছে ‘এনালগ ট্রাফিক’ সিস্টেম। নগরীর কোন মোড়েই নেই বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগনাল বাতি। 

সিলেট সিটি করপোরেশন সুত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে মাঝারি শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৬ সালে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। নগরীর ব্যস্ততম চৌহাট্রা, রিকাবীবাজার, নয়াসড়ক, সুরমা মার্কেট, নাইওরপুল, আম্বরখানা ও নয়াসড়ক পয়েন্টে স্থাপন করা হয় ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি। কিন্তু পরবর্তীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এই সিগন্যাল বাতিগুলো কার্যকর করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীতে দায়িত্বরত কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, সিলেটের ট্রাফিক ব্যবস্থা ডিজিটাল না হওয়ায় নগরীর যানজট নিরসনে আমাদের হিমসিম খেতে হয়। অনেক সময় যানজট নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হলে নগরীর যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।

এ ব্যাপারে এসএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এবিএম নায়হানুল বারী বলেন, ‘লাইট না থাকার কারণে যেসব গাড়ি চালক পিছনে থাকেন তারা কিন্তু অনেক সময় অনুমান করতে পারেন না, সামনে সমস্যাটা কী হচ্ছে। 

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নে ইতিমধ্যে বৈদুতিক সিগনাল বাতি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিসিকের পক্ষ থেকে সার্বে করা হয়েছে। ডিজিটাল সার্বের রিপোর্ট হওয়ার পরে আমরা পরবর্তী উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ