Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ সংষ্করণ 2023-11-08T08:13:21Z

সিলেটে অবরোধ ডেকে মাঠে নেই বিএনপি

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে তৃতীয় দফার সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে। তবে অবরোধের প্রভাব নেই সিলেটে।

অবরোধ ডেকে মাঠে নেই বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা।  সিলেটে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সকাল থেকে যানবাহন চলছে।

দিনের শুরুতে সড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যান চলাচল।  অবরোধকারীদের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো ধরনের তৎপরতা ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। অফিসগামী লোকজনকে গণপরিবহনে ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কর্মস্থলে ছুটতে দেখা গেছে।
 
অবরোধের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত যানবাহন বন্ধ রেখেছে। তবে শিক্ষার্থীরা অবরোধ ডিঙিয়ে নির্ধারিত যানবাহন ছাড়াও গণপরিবহনে স্কুল কলেজে যেতে দেখা গেছে।  

অবরোধকারীদের দমাতে ভোর থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে এবং নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা রয়েছেন।  

গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিরতি দিয়ে চলে আসা হরতাল-অবরোধে সিলেটে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার থানাগুলোতে এক ডজন মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী। অনেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক রয়েছেন।  

সোমবার বিকেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চ্যুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে বুধ ও বৃহস্পতিবার ফের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি সফল করতে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে সিলেট বিএনপি।

অবরোধের সমর্থনে মঙ্গলবার রাতে নগরের মিরাবাজারে বিএনপির কর্মী সমর্থের মশাল মিছিল করতে দেখা গেলেও বুধবার সকাল থেকে রাজপথে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। কোথাও কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
বুধবার সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত অবরোধে নগরের কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।  

২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। পরে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করা হয়।

খবর : বাংলা নিউজ

 
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ