বিজ্ঞাপন
জিভি২৪ ডেস্কঃ সম্প্রতি হাতিরঝিলে দেখা গেল ‘পারফর্মিং আর্ট’ ফ্রম পোর্টফোলিও অফ ডগডনেস। পশ্চিমা ধারণার এই পারফর্মিং আর্ট প্রথম দেখা যায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার প্রকাশ্য রাস্তায় ১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায়। এই কাজটি করেছেন টুটুল চৌধুরী ও সেঁজুতি। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা চলছে।
সেঁজুতি এটাকে ‘সমাজতাত্ত্বিক’ ও ‘আচরণমূলক’ কেসস্ট্যাডি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং ও ড্রয়িংয়ের শিক্ষার্থী। এই পারফর্মিং এর উদ্দেশ্য, কার্টুনে যেমন বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের মতো কথা বলা ও আচরণগতভাবে দেখানো হয় তেমনি এখানে মানুষকে প্রাণী (কুকুর) চরিত্রে দেখানো হয়েছে।
সেঁজুতি লেখক ক্লদিয়া স্লানারের লেখাকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, এই ছবিতে একজন নারী একজন পুরুষকে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বা আরো ভালো কোনো সামাজিক অবস্থার চিত্র দেখায় না। বরং সমাজ আমাদের ওপর যে সিস্টেম চাপিয়ে দিয়েছে সেটাই ফুটে উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে হাতিরঝিলে দেখা গেল মানব কুকুর।
সেঁজুতি এই পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোগ হইলে যেমন ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগে কিন্তু তার আগে রোগটা নির্ণয় করতে হয়। এখন পরিচিত রোগের সাথে তো পরিচিত, কিন্তু অপরিচিত/অজানা রোগ হইলে কেম্নে বুঝবা? এখন আমি অসুস্থ হইলে সেটা কষ্ট দেয় আগে কাকে! আমার পরিবারকে। আর আমরা অসুস্থ হইলে কাকে কষ্ট দেয়!! সমাজকে। তাই সমাজ সুস্থ করতে হইলে আগে আমাদের সুস্থ থাকতে হবে তাই না?
