Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-11-08T10:18:34Z
সিলেট

সিলেটে পাবলিক টয়লেটের টাকা আত্মসাৎ!

বিজ্ঞাপন

জিভয়েস২৪ ডেস্ক : সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগরে এবার পাবলিক টয়লেটের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কোন রকম টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই পাবলিক টয়লেট থেকে টাকা উত্তোলন করছেন ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন ইমরান। সরকারিভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হলেও এতে পাথর ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নেয়া হয়।

পাবলিক টয়লেট নির্মাণে ব্যয় নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নেয়ার পরেও পাবলিক টয়লেটের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ টাকা। অথচ এই পাবলিক টয়লেট থেকে ইউনিয়নের কোন আয় নেই বলে একটি সূত্র জানায়।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে এল.জি.এস.পি-২ খাতে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ইউনিয়নের ধোপাগুল পয়েন্টে সরকারী একটি পাবলিক টয়লেট নির্মান করা হয়। রাতারগুল ও ধোপাগুল পাথর জোন এলাকার পর্যটকদের সুবিধার্থে এ পাবলিক টয়লেট নির্মান করা হয়েছিল। পর্যটক ও পরিদর্শনকারীরা প্রতিদিন ৫,১০ ও ৩০ টাকা দিয়ে এ পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে জনৈক নারায়ণকে দিয়ে এ টাকা উত্তোলন করা হয়। নারায়ণ ও তার ছেলেরা প্রতিদিন ইউপি মেম্বার নাজিম উদ্দিন ইমরানের হাতে ৩শ’টাকা করে দেন । এই টাকার ভাগপান ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ করেন খাদিমনগরের বাসিন্দা গোলাম আযম জয়। প্রতিবছর ইউনিয়নের মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে।

তিনি বলেন, সরকারি কোন সম্পত্তি ইজারা দিতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু খাদিমনগরে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হলেও এটা ইজারা না দিয়ে গোপনে নারায়ণ দত্ত নামের এক ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছে। পাবলিক টয়লেট থেকে আয়কৃত টাকা ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ও মেম্বার মিলে ভাগভাটোয়ারা করে নেন। যার কারণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আমি এই রকম ব্যবস্থাপনার প্রতি ক্ষোভ ও নিন্দা জানাই। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।

এ ব্যাপারে ইউপি ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাজিম উদ্দিন ইমরান বলেন, টয়লেট যথারীতি নিলামে দেয়া হলে নারায়ন নামের এক ব্যক্তি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে ইউনিয়নের তহবিলে জমা দেন এবং তা ইউনিয়নের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন নিলামের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও পানি সরবরাহের জন্য নারায়ন টাকা উত্তোলন করে থাকে। ইউনিয়ন থেকে এ টয়লেট নিলামে দেয়া হয়নি এবং এর কোন টাকা ইউনিয়নের তহবিলে জমা দেয়া হয় না।

বিমানবন্দর থানা স্টোনক্রাশার মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দিন বলেন, জনস্বার্থে আমরা অনেক কাজে সহযোগীতা করে থাকি। ধোপাগুল পাবলিক টয়লেট নির্মাণের সময় আমরা পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করেছি।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ