Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-02-12T20:52:55Z
গোলাপগঞ্জলিড নিউজ

গোলাপগঞ্জের এক তরুণের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

বিজ্ঞাপন

জাহিদ উদ্দিন : বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি শিক্ষা অর্জন করে পাড়ি জমান বিদেশে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মোঃ জাহিদ নাফি। বয়সে একদম তরুণ।তিনি ইংরেজি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের মাঝে।

তিনি প্রথমে ইংরেজি শিক্ষায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে পরে নিজে গড়ে তোলেছেন সিলেটের উপশহরের এবিসি পয়েন্টে "প্যারামাউন্ট ইংলিশ" নামের একটি ব্যতিক্রমী ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

যে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা ইংরেজি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করছে। তারা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সুযোগ পাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

এই তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ জাহিদ নাফি IELTS এ ৮.০ পেয়ে ২০১৩ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইংরেজী ভাষা শিক্ষার সাথে (IELTS. Spoken English) কাজ করছেন। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজে পরিচালনা করছেন এই ইংরেজি শিক্ষার ব্যতিক্রমী প্লাটফর্মটি।

মোঃ জাহিদ নাফি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা অঞ্চলের বাদেপাশা ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী'র (সাবেক ইউপি সদস্য) পুত্র। তিনি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

মোঃ জাহিদ নাফির সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য আমাদের প্রথমেই ইংরেজি শিক্ষা অর্জন করতে হবে। আর এ ভাবনা থেকে আমি ইংরেজি শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করি। তারপরও ভাবলাম আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে ভালো কোন চাকুরী পাচ্ছেনা বা উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো কোন দেশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেনা। অনেকে লেখাপড়া করেও চাকুরী না পেয়ে বেকার হয়ে ঘরে বসে আছে। এর একটা বড় কারণ হচ্ছে আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি শিক্ষাতে পিছিয়ে রয়েছি। এসব বেকার শিক্ষার্থী ভালো দিক নির্দেশনা পেলে আর বেকার থাকবেনা।

ইংরেজিতে শিক্ষার্থীদের ভালো কিছু দিতে হলে প্রথমে আমাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। সেই ভাবনা থেকে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করি। তারপরও নিজেকে উজাড় করে দিতে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট নিজের প্রতিষ্ঠান "প্যারামাউন্ট ইংলিশ "।

তিনি আরো বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনের জন্য IELTS এ ৬মাস কোর্স করেও ৬.০০ পয়েন্ট পাচ্ছেনা। যার জন্য উচ্চ শিক্ষা অর্জনে যেতে পারছেনা অন্য কোন দেশে।

আমি এসব দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্যে আবাসিকের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। যাতে তারা অল্প সময়ে ইংরেজি ভাষাটা শিখতে পারে। ইংরেজি শিক্ষা তেমন কোন কঠিন কোন বিষয় না। যদি শিক্ষার্থীদের সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় তাহলে মাত্র দেড় মাসেই IELTS এ ৬.০০ এর বেশি পয়েন্টও অর্জন করা সম্ভব। যা আমার প্রতিষ্ঠান মাত্র দেড় বছরে দেখিয়ে দিয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী আমার প্রতিষ্ঠানে ছিল তাদের সবার স্কোর IELTS-এ ৬.০০ এর নিচে নামেনি।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ