Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-03-01T09:44:14Z
লিড নিউজসিলেট

সিলেটের সেই প্রতারক আমিন পুলিশের জালে

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে কানাডা-রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে প্রায় তিন শ’ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই প্রতারক আমিনুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি নগরীর জিন্দাবাজারস্থ হক সুপার মার্কেটে অবস্থিত ‘আমিন রহমান ট্রাভেলস’র মালিক ও সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার নিজগাঁওয়ের তোফাজ্জল আলীর ছেলে। নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ জি ব্লকের ৪ নং রোডের ৯৬ নং বাসায় থাকতেন তিনি।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) বেলা ২টার দিকে নগরীর একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানাপুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলী মাহমুদ।

অন্তত ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন আমিনুর রহমান। এ অভিযোগে আমিন ও তার দুই ভাইকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মানবপাচার ও প্রতারণা মামলা দায়ের করেন প্রতারিতরা। তাদের পক্ষ থেকে ফখরুল ইসলাম নামের একজন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ হক সুপার মার্কেটে অবস্থিত ‘আমিন রহমান ট্রাভেলস’ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রতারক আমিনুর রহমান কানাডা ও রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে লোকজনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।

ভূক্তভোগীরা জানান, ৯০ দিনের মধ্যে রোমানিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় ‘আমিন রহমান ট্রাভেলস’। ওই বিজ্ঞাপন দেখে তারা নগরীর জিন্দাবাজার হক সুপার মার্কেটস্থ ট্রাভেলসে যোগাযোগ করেন। তখন ট্রাভেলসের মালিক আমিনুর রহমান জানান, রোমানিয়ায় যেতে হলে ৬ লাখ টাকা লাগবে। প্রথমে বুকিং মানি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা ও ওয়ার্কপারমিট আসার পর দিতে হবে আরও ৫০ হাজার টাকা। বাকি ৫ লাখ দিতে হবে ভিসা হওয়ার পর। আমিনের কথামতো রোমানিয়ায় যেতে আগ্রহীরা তার সাথে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি করে টাকা দেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রোমানিয়ায় ফ্লাইট দেয়া শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন বিকেল ৪টা থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেন তিনি। পরে অনেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের পাসপোর্টে লাগানো ভিসাও ছিল জাল। এছাড়া অনেককে ভিসা হওয়ার কথা বললেও তাদেরকে পাসপোর্ট ফেরত দেননি আমিন।

এ ঘটনার পর শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আমিন রহমান ট্রাভেলসের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রতারিতরা। ট্রাভেলসের মালিক প্রতারক আমিন রহমানকে গ্রেফতার ও আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধারে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এসময়। পরে শনিবার বিকেলে আমিন রহমানকে প্রধান অভিযুক্ত করে আরও ২ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। 
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমিন রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রবিবার মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। মামলার বাদি হন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে ফখরুল ইসলাম। মামলায় আমিন রহমানকে প্রধান ও তার দুই ভাই সিদ্দিকুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসামি করা হয়।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ