Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-07-22T17:07:04Z
সিলেট

সিলেটের পল্লী বিদ্যুতের সভা : ১৭ জনের সভায় ২৩ ফ্যান, ৪৫ বাতি !

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : মতবিনিময় সভা ডাকার উদ্দেশ্যই ছিল বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা বিষয়ে আলোচনা। বিকেল ৩টায় সভা শুরুর কথা থাকলেও বিকেল ৬টা পর্যন্তও সভায় উপস্থিত হননি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ কাশিকাপন জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী। নির্ধারিত সময়ে সভাস্থলে আমন্ত্রিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন। তবে দিনের বেলাতেই পুরো সময়টায় সভাস্থলে জ্বলছিল ৪৫টি বৈদ্যুতিক বাতি, ঘুরছিল ২৩টি বৈদ্যুতিক পাখা (ফ্যান)। হচ্ছিল বিদ্যুতের অপচয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলার বিশিষ্টজন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি, প্রকৃত গ্রাহক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়।

জানা গেছে, এখানে সভার সময়ে ডিজিএম অন্যস্থানে আরেকটি সভায় উপস্থিত ছিলেন। খোদ পল্লী বিদ্যুতের এমন বেহিসাবি আচরণ উপজেলাজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

উপজেলা মিলনায়তনে ৬০ জনের বসার জায়গা রয়েছে। অনুষ্ঠান ঘিরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিলনায়তনের ৪৫টি বাতি (লাইট) ও ২৩টি ফ্যান চালানো হচ্ছিল। আমন্ত্রিতদের মধ্যে ১৭ জন উপস্থিত হলেও ডিজিএম মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী না আসায় সভা শুরু হচ্ছিল না। এতে অনেকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে চলে যান। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার পরে ডিজিএম এলে সভা শুরু হয়। এ সময় ২০ জনের মতো উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে সভা শেষ হয়।

সভায় বিদ্যুতের এমন অপচয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ওসমানীনগর উপজেলার মানুষ যথেষ্ট সচেতন, ধৈর্য্যশীল ও ত্যাগী। আমাদেরই সচেতন হওয়া দরকার।’
চলমান সংকট নিরসনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে সরকারের নির্দেশ থাকার পরও বিনা প্রয়োজনে এতোগুলো বাতি-ফ্যান দীর্ঘ সময় ধরে জ্বালানো ও চালু রাখায় অনেকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সচেতন করবেন যাঁরা তাঁরা এভাবে বিদ্যুতের অপচয় করলে সাধারণ মানুষ কী শিখবে।’

ডিজিএম আসার আগে সভায় উপস্থিত আবদুল মনাফ বলেন, ‘আমাদের ডেকে ডিজিএম নিজেই অনুপস্থিত। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগ যেখানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার কথা বলছে সেখানে প্রয়োজন ছাড়াই অসংখ্য ফ্যান ঘুরছে এবং লাইট জ্বলছে। এটা দুঃখজনক।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ কাশিকাপন জোনাল কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক আবদুল মতিন বলেন, ‘আমন্ত্রণ পেয়ে পল্লী বিদ্যুতের সভায় এসেছিলাম। কিন্তু প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ডিজিএম উপস্থিত না হওয়ায় সভাস্থল থেকে চলে এসেছি।’
উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিকেল ৩টায় সভায় আসার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিজিএম উপস্থিত না হওয়ায় সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, ‘ডিজিএম বলেছিলেন সাড়ে ৩টায় সভা হবে। আমার একাধিক সভা থাকায় আমি উপস্থিত হতে পারিনি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পরও তিনি কেন উপস্থিত হননি বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিএম সাহেব আরেকটি সভায় ব্যস্ত রয়েছেন বলে জেনেছি। উক্ত সভা শেষ করেই তিনি মতবিনিময় সভায় যাবেন।’

সূত্র : কালেরকন্ঠ
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ