Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-08-05T22:28:53Z
লিড নিউজসিলেট

বাবা ভাইয়ের পর না ফেরার দেশে ওসমানী নগরের প্রবাসী সামিরাও

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১১দিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রবাসী বাবা ভাইয়ের পর মারা গেলেন সামিরা বেগমও (২০)। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সামিরার চাচা জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, আজ রাত দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে খবর আসে সামিরাও না ফেরার দেশে চলে গেছে। এর আগে এক ঘটনায় সামিরার পিতা রফিকুল ইসলাম (৫০) ও সামিরার ভাই মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান।  

এদিকে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত থাকলেও এখনো অন্ধকারে ঘটনার রহস্য। কিভাবে একত্রে পরিবারের ৫ জন অচেতন হয়েছিলেন সেই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৬টি আলামত সংগ্রহ, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং অচেতন হওয়া হুসনারা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলামের সাথে কথা বললেও রহস্য উদ্ঘাটনের মতো কোনো তথ্য এখনো জানা সম্ভব হয়নি। 

ঘটনার পর থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গত বুধবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য তারা ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন। 

সিলেটের পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, সামিরার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। তবে তার মা ও ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনার এখনো কোনো রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে তাজপুরে ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উপজেলা দয়ামীর ইউনিয়নের ধিরারাই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ একই পরিবারের ৫ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ও তার ছোট ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। 

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ