বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : এবারে সিলেটে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৫০৫ জন।
রোববার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া পাওয়া গেছে। তবে সিলেট বোর্ড কর্তৃপক্ষ দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবছর সিলেট বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ৮০ হজার জন। এবছর পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
গত বছর পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৫০৫জন। এবছর জিপিএ-৫ কমেছে ৫৮৫টি।
এর আগে, আজ সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ফলাফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।
ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।
সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারির কারণে দেশের শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। ২০২০ সালে বিষয় ও নম্বর কমিয়ে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছর পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ সময় এবং পূর্ণ নম্বরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়।