বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসমাইল উদ্দিনকে এক পুলিশ সদস্য মারধরের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি করেছে সিএমপি। এর আগে শনিবার (২১ জুন) ভোরবেলা নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্টে চায়ের টং দোকান খোলা নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে।
সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিলেটে চা দোকান খোলা ও তাকে মারধরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত ও ক্লোজড করে তাকে পুলিশ লাইনে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
অভিযোগে বলা হয়, ইসমাইল উদ্দিন জুলাই-আগস্টের আগে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন। তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠলে জীবন-জীবিকার তাগিদে নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্টে ভাসমান একটি চায়ের দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোরবেলা দোকান খুলে বসলে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসিমসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাকে গিয়ে দোকান বন্ধ করতে বলেন। এসআই জসিম এসে ‘এতো সকালে দোকান খোলা কেন’ জানতে চেয়ে তাকে ভ্যান গাড়িসহ তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এসময় ইসমাইল বলেন, আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। আন্দোলনে আহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন বেকার বসে থাকতে পারি না, তাই চা এর দোকান দিয়েছি। ইসমাইল জুলাইযোদ্ধার পরিচয় দেওয়ার পরও এসআই জসিম উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’- বলে তাকে মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। তখন সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান।
আহত ইসমাইল উদ্দিন বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলে জীবন-জীবিকার তাগিদে জিতু মিয়ার পয়েন্টে ভাসমান একটি চায়ের দোকান দেন। এসআই জসিমসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাকে গিয়ে দোকান বন্ধ করতে বলেন। পরিচয় দিলেও জসিম উদদীন উত্তেজিত হয়ে ইসমাইলকে বেদড়ক মারধর করলে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ইসমাইল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’