Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-01-03T07:27:31Z
লাইফস্টাইল

শীতকালে সুস্থ থাকতে যে ৫ খাবার অবশ্যই খাবেন

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে জেঁকে বসেছে শীত। এই শীতে শরীর সাস্থ্য ভালো রাখা খুব সহজ কাজ নয়। শীতকালে ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। শরীরের দুর্বলতা হ্রাস করাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের উপকার পেতে, নিচের খাবারগুলো অবশ্যই খাওয়া উচিত। 

সিদ্ধ ডিম: শীতে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও তাজা রাখতে সিদ্ধ ডিমের ভূমিকা অনন্য। ডিম পুরো বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবার। এটিতে রয়েছে অনেক বিস্ময়কর উপাদান, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি এইজন্যই এটি খুব জনপ্রিয়। ডিমের মধ্যে রয়েছে ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, যেমন—বি২, বি১২, এ ও ই; রয়েছে জিংক, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় মিনারেল। শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাই ডিম রাখতে পারেন। তবে উপযুক্ত উপকার পেতে অবশ্যই আপনাকে সিদ্ধ করে নিয়মিত সকালে খেতে হবে। 

গাজর: শীতকালে সবজির অভাব হয় না। বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি দেখা যায়। শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর অন্যতম। যদিও এখন সারাবছরই প্রায় গাজর চোখে পড়ে। গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরে রয়েছে শক্তি, শর্করা, চিনি, খাদ্যে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিনসমূহ ভিটামিন এ সমতুল্য, বেটা ক্যারোটিন, লুটিন জিজানথেন, থায়ামিন (বি১), রিবোফ্লাভিন (বি২), ন্যায়েসেন (বি৪প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫), ভিটামিন বি৬, ফোলেট (বি৯), ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, চিহ্ন ধাতুসমুহ, ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ , ফসফরাস, পটাশিয়াম, ও সোডিয়াম। এইজন্যই এটির একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও গাজরের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ বেটা ক্যারোটিন। এটি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষ এক ভূমিকা রাখে। 

শাক-সবজি: শাক-সবজিকে এককথায় শীতের খাবার বলে থাকে। শীতকালে লালশাক, পালং শাক, পুঁই শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটোসহ অনেক ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যায়। শীতের সময় এইগুলো বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এই শাক-সবজিতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সহ আরও কার্যকরী উপাদান। যা শরীর সুস্থ রাখতে, শক্তি বৃদ্ধি করতে, শরীরের গঠন বাড়াতে ও মন সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শীতের সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা পলিস্যাকারাইড নামের শর্করা রয়েছে। 

খাঁটি মধু: মধুর উপকারিতা সবারই জানা। শীতের সময় দেহ সুস্থ রাখতে মধুর ভূমিকা অনন্য। এটি অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এবং এর প্রয়োজনীয়তা দেখে প্রায় সব ডাক্তাররাই বলেছেন নিয়মিত মধু খাওয়ার জন্য। ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু খুবই উপকারি। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। ঘুমানোর আগে বা সকালের নাশতার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।

সবুজ চা (গ্রিন টি): সবুজ চায়ে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শীতের দিনে দুই থেকে তিন কাপ সবুজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ