Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ সংষ্করণ 2025-07-03T15:55:55Z
সিলেট

হাসপাতালের বারান্দায় গোলাপগঞ্জের একজনসহ দুই নারীর সন্তান প্রসব

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের সামনে বারান্দায় মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই প্রসূতির সন্তান প্রসবকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন স্বজনরা।

বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সন্তান জন্ম দেওয়া দুই নারীর একজন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাউসি গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫)। অন্যজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের মো. শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯)। দুজনেরই পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে।

স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে বারবার নার্সদের ডেকেছি, তারা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সিরিয়াল ধরতে বললেও আমরা বলেছি, রোগীর অবস্থা গুরুতর। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষমেশ বারান্দায় কাপড় দিয়ে আড়াল করে সন্তান প্রসব করাই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান দুই প্রসূতি ও তাদের স্বজনরা। এ সময় লেবার ওয়ার্ডের দুই নার্স তাদের সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে নিজেদের মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। তখন বসা অবস্থাতেই মিতালী দাস একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। ১০ মিনিট পর একইভাবে সুমি বেগমও সন্তান প্রসব করেন।

স্বজনরা জানান, প্রসবের পর আড়ালের জন্য নার্সদের কাছে চাদর চাইলে তা-ও দেওয়া হয়নি। পরে উপস্থিত অন্যান্য নারীরা নিজেরাই কাপড় ধরে আড়াল করেন।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, “এটি লেবার ওয়ার্ডের সামনেই হয়েছে। প্রতিদিন দেড়-দুইশ রোগী আসেন। অনেকে একেবারে অন্তিম সময়ে আসেন, তখন সিরিয়াল থাকে না। এক মায়ের একটি সন্তান চার মাস আগে মৃত ছিল। অন্য মায়ের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “নার্স ও ডাক্তাররা ওভার লোডেড অবস্থায় কাজ করছেন। আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। তবে রোগীর স্বজনরা লেবার ওয়ার্ডের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

দুই প্রসূতির বারান্দায় সন্তান জন্মের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি হাসপাতালে যদি এমন হয়, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়!

সৌজন্যে : Dhaka Tribune
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ