বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক : সিলেটে মোটর সাইকেলের মধ্যে বোমাসদৃশ একটি বস্তু নিয়ে তোলপাড় হয়ে গেছে। তবে র্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনীর প্রায় ২২ ঘন্টার একটি যৌথ অভিযান শেষে জানা গেছে, সন্দেহজনক যন্ত্রটি বিস্ফোরক কিছু নয়, একটি গ্লান্ডার মেশিন (টাইলস কাটার যন্ত্র)।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ২২ ঘন্টার এই অভিযান শেষে এমনটি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতাতিক ডিভিশনের বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলের নেতা লে. কর্ণেল রাহাত।
এরআগে বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখতে পায় পুলিশ। ওই মোটরসাইকেলটি সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ভিবাগের সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর।
বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া সম্পর্কে সার্জেন্ট চয়ন নাইডু বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমি চৌহাট্টা মোড়ে মোটরসাইকেল রেখে চশমা কিনতে পাশের একটি দোকানে প্রবেশ করি। দোকান থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে উঠতে গিয়ে পা রাখার স্থানে ড্রিল মেশিনের মতো বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।
চয়ন নাইডুর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞাসহ পুলিশের উধর্তন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা জায়গাটিকে ফিতা টেনে ঘিরে রাখেন। এই এলাকা দিয়ে মানুষের চলাচল এবং চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর সদস্যরা। এরপর র্যাব-৯ এর বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলও ঘটনাস্থলে আসেন।
তবে র্যাবের বোমা নিষ্ত্রিয়করণ দল বোমাসদৃশ বস্তুটি অপসারণে রাজি না হওয়ায় ঢাকায় পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলকে খবর দেওয়া হয়। রাতভর ওই জায়গাটি ঘিরে রাখে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে পৌছে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল।তারা ওই বস্তুটি উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বেলা ৩টার দিকে মোটরসাইকেল থেকে ওই বস্তুট অপসারণ করে সেনা সদসৗরা। এরপর কিছুক্ষণ তা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। বিকেল ৪টার দিকে লে. কর্ণেল রাহাত জানান, অপসারণ করা বস্তুটি একটি টাইলস কাটার যন্ত্র। কোনো বিস্ফোরক নয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বরৈন, কে ওই যন্ত্রটি পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে রেখে গেছে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বুধবার রাত থেকেই পুলিশের মোটরসাইকেলের মধ্যে ‘বোমা’ থাকার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এতে নগরীতে আতঙ্ক দেখা দেয়।