বিজ্ঞাপন
সামিল হোসেন : বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নে বেশ সাফল্য অর্জন করলেও । তার সাথে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার যেমন পরিবর্তন হয়েছে। তবে দেশ যতই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্চে অপরাধও তার দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এমনি একটি অপরাধ ধর্ষণ। যা বর্তমানে একটি আর্ট হয়ে গেছে। আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে আজ ধর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্কুল - কলেজ থেকে শুরু করে মাদ্রাসা,আদালাত, অফিস,বাস দেশের প্রতিটা জায়গায় হচ্চে ধর্ষণ। প্রশ্ন নারী সমাজ আজ নিরাপদ কোথায়?
কারা ধর্ষণ করে? উত্তর খুজলে বের হয়, বিকারগ্রস্ত পুরুষদের দ্বারাই ধর্ষিত হচ্ছে নারী।
শুধু নারী না, সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে কিশোর বয়সের মেয়েরা। এর পরে যদি বলি, তাহলে অল্পবয়সী মেয়ে শিশুরা যাদের প্রতিরোধের শক্তি-সাহস কোনটাই নেই তারাও শিকার আজ ধর্ষণের।
দেশে প্রতিদিন কত মেয়ে আজ ধর্ষিত হচ্ছে তার কোনো হিসাব নেই। যারা সামনে এসে বিচার চায়, আর যারা হত্যার শিকার হন তাদের খবরই আমরা শুধু জানতে পারি।
আবার রয়ে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে এমন হাজারো ঘটনা হয়তো আমারা তা জানতে পারিনা।
বিগত কয়েক বছর যাবত ধর্ষণ হত্যা এসব এখন দেশে প্রতিদিনের সংবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্ষণ হত্যার পরিসংখ্যান নাই বললাম, শুনলে ও দেখলে আঁতকে উঠে মন। গত কয়েক বছরে সারা দেশে ধর্ষণ সংখ্যা অকল্পনীয়।
তাহলে কেনো এতো ধর্ষণ? পশ্চিমা সংস্কৃতি ও বিশ্বায়নের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ধর্ষণ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবাধ তথ্য প্রবাহের ধরুন ইন্টারনেট, ফেসবুক, যৌন উত্তেজনাপূর্ণ ভিডিও, টিভির বিভিন্ন চ্যানেলে যৌন উত্তেজনাপূর্ণ ছবি দেখে এসব অপকর্ম দিনদিন দেশে বৃদ্ধি পেতেই চলেছে।
প্রতিনিয়ত এসব ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার পিছনের একমাত্র কারন যথাযথ ভাবে আইনের প্রয়োগ না হওয়া।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক-ফোকর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে সঠিক বিচার পান না ভুক্তভোগীরা। ধর্ষণ মামলার প্রায় ৯০ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে যায়। পুলিশি তদন্তে ত্রুটি এবং অবহেলা ছাড়াও এর পেছনে কাজ করছে নেতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা।
দেশে ধর্ষণের এমন লাগামহীন চিত্র দেখে বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাসহ শিক্ষা ব্যবস্থাকেও প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়।
আসলে ধর্ষণের জন্য কী ধর্ষক ই দায়ী? যদি দেশে নারী সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। তারপর যথাযত আইন প্রনয়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা জরুরি।
দেশে শিক্ষার সঙ্গে নৈতিকতার সমন্বয় সাধন করতে হবে তাহলে অপরাধ কর্মে তাদের বিবেক বাধা দিবে। ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে কারণ ধর্ম ভাবনা তথা নৈতিক চেতনা মানুষের আচরণ সংশোধনে যতো সহজে ফলপ্রসূ হতে পারে তা অন্য কোনো উপাদানে লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়াও উপদেশ ও পরামর্শমূলক সেমিনারের আয়োজন করলে ফলপ্রসূ হতে পারে।