গোলাপগঞ্জে মাঠে মাঠে দোলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ:: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় মাঠে মাঠে এখন কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দোল খাচ্ছে। আসছে নভেম্বর মাসের শেষদিকে ঘরে উঠবে নতুন ধান, কৃষকের গোলা ভরে উঠবে আমন ধানে।

উপজেলার প্রতিটি মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ! যেদিকে চোখ যায় নয়ন জুড়িয়ে যায়। সোনালী ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ। মাঠে মাঠে সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাস প্রতিটি কৃষক পরিবারে। ঘরে আমন ধান তুলতে সবধরণের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই মাঠজুড়ে দুলতে থাকা সোনালী স্বপ্ন আমন ধান কাটতে শুরু করবেন কৃষকরা। আমন ধান কাটার মূল সময় হচ্ছে অগ্রহায়ণ মাস। এই মাসে পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেন কৃষকরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধান আবাদে কোনো ধরণের সমস্যা হয়নি। আশানুরূপ ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১১ হাজার ৪শ ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩শ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায় চারদিকে শুধু সোনালী ফসলের সমারোহ দেখা গেছে। পুরো মাঠ যেন সোনালী রঙে সেজেছে। চলতি মৌসুমে মাঠে অন্য বছরের চেয়ে ধানের চাষ ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে।

বুধবারী বাজার বাগিরঘাট গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন। তার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে।।

ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘনশ্যাম এলাকার আকবর আলী জানান, আবহাওয়া যদি শেষ পর্যন্ত ভালো থাকে তাহলে শতভাগ ফসল ঘরে তোলা যাবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের ধানের চারা পরিচর্যা করার পরার্মশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খায়রুল আমীন বলেন, ‘বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে আসছি। কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন সেজন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখেছি। মাঠে অনেক ফলন হয়েছে। আশা রাখি শেষ পর্যন্ত কৃষকরা ঘরে ধান তুলে লাভবান হবেন।’