Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-11-24T19:42:56Z
সিলেট

দেড় বছরেও সিলেটের সেই পােলট্রি খামারটি উচ্ছেদ করতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর!

বিজ্ঞাপন

জিভয়েস২৪ ডেস্ক: সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানগাঁও গ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে গড়ে ওঠা নাহিশা পােলট্রি খামারটি দেড় বছরেও উচ্ছেদ করা হয়নি। একের পর এক অভিযােগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযােগের তদন্ত করে ২ মাসের মধ্যে খামারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় ও পরবর্তী সময়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। তারপরও খামার মালিক সেটি সরিয়ে নেননি কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর তা উচ্ছেদে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

এলাকাবাসী অভিযােগ করেছেন, নানা ছলচাতুরী করে নাহিশা পােলট্রি খামারের মালিক ঐ এলাকার বড়বন্দ গ্রামের নজরুল ইসলাম সেটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গ্রামের ভেতর পােলট্রি ফার্ম গড়ে তােলায় দেড় বছর ধরে দুর্গন্ধের শিকার হচ্ছেন স্কুল শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। বিশেষ করে খামারের পাশের বাসিন্দারা রয়েছে কষ্টে।

গত বছরের ১৩ মার্চ পাঠানগাওয়ের আশরাফ আহমদ নামের এক বাসিন্দা পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে খামারটি উচ্ছেদে অভিযােগ করেন। অভিযােগে ছাড়পত্র ছাড়া ও গ্রামবাসীর আপত্তি উপেক্ষা করে খামারটি তার ঘরের পাশে স্থাপন করা হয় বলে দাবি করেন।

একই বছরের ১১ জুন সিলেট জেলা প্রশাসক, খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানগাও গ্রামের শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত অভিযােগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এলাকাবাসীর পক্ষে ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়। পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতােমধ্যে প্রত্যেকটি বিভাগ ও সংস্থা সরেজমিন তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কেমিষ্ট সাইফুল ইসলাম ও পরিদর্শক হারুন অর রশিদ অভিযােগের কয়েক মাস পর সরেজমিন তদন্ত করে সত্যতা পান। পরে তাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত পত্রে খামার মালিক নজরুল ইসলামকে দুই মাসের মধ্যে খামার বন্ধ বা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও সেটি না সরানােয় নতুন পরিচালক কয়েক মাস আগে খামার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও আবার দুই মাসের মধ্যে খামার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে দু'মাস ইতােমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক মােহাম্মদ এমরান হােসেন জানান, খামারটি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি জরিমানাও দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র- দৈনিক সমকাল
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ