বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কালিটেকা গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে সুজন মিয়া। ৩৫ বছর বয়সের এ যুবক পেশায় একজন রঙ মেস্তরী। এইতো আজ শুক্রবার (নভেম্বর ১৩) বিকেলে তার বিয়ের দিন তারিখ (চিনি-পান অনুষ্ঠান) ধার্যের কথা ছিল।
কিন্তু সকাল থেকেই বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন তিনি। জু’মার আজানের সময়ে ব্যথা নিয়েই গ্রামের জামে মসজিদে নামায আদায়ের জন্য যান সুজন। ব্যথা প্রচন্ড আকার ধারণ করলে তিনি সিজদায় পড়ে যান এবং শেষে সিজদারত অবস্থায় ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
সহজ-সরল প্রকৃতির যুবক সুজনের আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে বারবার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন তার মা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কান্নায়ও ভারী হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। কালিটেকা গ্রামে যেন নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সুজনের বড়ভাই দবির মিয়া জানান, আজ ছিল তার “চিনি-পান” (বিয়ের দিন তারিখ ধার্য) অনুষ্ঠান। জু’মার নামাজের পর তার হবু শশুড়বাড়ির লোকজন আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।
তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে প্রিয় ভাইটি পাড়ি জমাল না ফেরার দেশে। সিজদারত অবস্থায়ই (হার্ট অ্যাটাকে) সে মারা যায়। যদিও আমরা তাকে ওই অবস্থায় বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। তিনি পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, শুক্রবার রাত ৮টায় জানাজার নামাজ শেষে সুজন মিয়ার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বড়ভাই দবির মিয়া।