স্টাফ রিপোর্টার:: আমার সন্তানদের কী ভাবে মানুষ করেছি আমি জানি। সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য নিজের শরীরের রক্ত বিক্রি করে প্রাইভেটের টাকা জুগিয়েছি। কখনো তাদেরকে কোন অভাব বুঝতে দেইনি। আমার মেয়েটির সুখের জন্য মামুনের কাছে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এটা ভাবিনি যে আমার মেয়েকে অকালেই স্বামীর হাতে খুন হয়ে পরপারে চলে যেতে হবে। বার বার কান্নায় মূর্ছা যাওয়া স্বামীর হাতে খুন হওয়া তামান্না বেগমের মা এসব কথা বলছিলেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর একটি জিন্দাবাজারস্থ আল-মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. আল মামুনের সাথে বিবাহ হয় তামান্না বেগমের।
সিলেট নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার একটি কক্ষ থেকে সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় দক্ষিণ সুরমা থানার ফুলদি এলাকার মেয়ে নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগ থেকেই তামান্নার স্বামী আল মামুন পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদী হয়ে কতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৫৮)। মামলায় নিহতে তামান্না বেগমের স্বামী মো. আল মামুনসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
তামান্না বেগম বাড়ি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের ইউপি সদস্য ফয়জুল হকের ৪র্থ মেয়ে। তবে মা-ভাই-বোন ও পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমি সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা।