বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার একটি কক্ষ থেকে সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি এলাকার মেয়ে নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগ থেকেই তামান্নার স্বামী আল মামুন পলাতক রয়েছেন।
তামান্না হত্যার পর থেকে বিভিন্ন বিষয় বের হয়ে আসছে তামান্নার পরিবারের স্বজনদের মুখ থেকে। তামান্নার মা অভিযোগ করে বলেন, সিলেটের মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সে কর্মরত শাহনাজ পারভীন তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মামুনের সাথে বিয়ে দিতে জোর করেন। মামুনের সিলেটে নিজস্ব বাসা আছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে বলেন শাহনাজ পারভীন।
নিহতের মা বলেন, শাহনাজ পারভীন মামুনের খালা ছিলেন বলে পরিচয় দেন তাদের কাছে। এমনকি মামুনের বাড়ি বরিশালে ছিলো সেটিও তিনি গোপন রাখেন। আইডি কার্ড দিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা বলে জানান তিনি। কিন্তু এখন খবর পাওয়া যায় মামুনের আইডি কার্ড ভুয়া ছিলো। এমনকি সে বিবাহিত ছিলো আর তার একটি সন্তানও ছিলো সেটিও গোপন রাখেন শাহনাজ পারভীন বলে জানান নিহত তামান্নার মা।
এদিকে, সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা ( নং ৫৮) দায়ের করে। মামলায় নিহতের স্বামী মো. আল মামুনসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় মামুন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- এমরান, পারভীন, মাহবুব সরকার, বিলকিস ও শাহনাজ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এরপর সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজহার নামীয় ২নং আসামী এমরানকে কোতোয়ালি থানাধীন সোবহানীঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা। তিনি বলেন বাকি আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।