Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-12-24T14:23:58Z
গোলাপগঞ্জ

৩ দিন পর অটোরিকশায় ভরপুর গোলাপগঞ্জ, স্বস্তিতে জনসাধারণ

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ: সারি সারি সিনএজি অটোরিকশায় ভরপুর ছিলো গোলাপগঞ্জ উপজেলা। যে দিকেই চোখ যায় সেদিকেই সিএনজি অটোরিকশা। অনেকেই এতো এতো সিএনজি অটোরিকশার কারণে বিরক্ত প্রকাশ করতেন। সড়কের এপার থেকে ওপারে যেতে কয়েক মিনিট সময় লেগে যেতো। কিন্তু তিন দিনের ধর্মঘট বুঝিয়ে দিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা কতটা জরুরি। পুরো তিন দিন ফাঁকা রাস্তা ছিলো। যাত্রীদের ভোগান্তি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়ে ছিলো।

সিএনজি অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজনে পুলিশের নির্দেশনা প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবিতে সিএনজি শ্রমিকদের ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের শেষ দিন ছিল গত মঙ্গলবার। এরপর তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আরো ২৪ ঘন্টা বাড়ানো হয়। যা গতকাল বুধবার পর্যন্ত ছিল। তবে গতকাল রাত ৯টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন তারা।

গত তিন দিনের ধর্মঘটের কারণে চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ীসহ সকল ধরণের মানুষের দুর্ভোগ পুহাতে হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেই সুযোগে ফায়দা লুটে নিয়েছে মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসের চালকেরা। দিগুণ, তিনগুণ পর্যন্ত টাকা আদায় করেছেন অসহায় যাত্রীদের কাছ থেকে। সেই সাথে বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কয়েকটি স্থানে দেখা যায়, আবারো আগের রুপে ফিরে এসেছে সড়ক। সিএনজি অটোরিকশার ভরপুর তিনদিন ফাঁকা থাকা সড়ক গুলো। সেই সাথে স্বস্তি ফিরেছে উপজেলার সকল মানুষের মাঝে।

কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, তিন দিনে ধর্মঘটে আমাদের খুব বেশি কষ্ট হয়েছে। কর্মস্থলে যাওয়া যায় নি। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসের চালকেরা দিগুণ, তিনগুণ পর্যন্ত টাকা আদায় করেছেন আমাদের কাছ থেকে।

শফিকুর রহমান নামে এক চাকুরীজীবি বলেন, তিন দিন সিলেট গিয়েছি ৬ শ টাকা ভাড়া লেগেছে৷ অন্যান্য দিন যা ২শ টাকায় হয়ে যায়। এর মধ্যে কত ভোগান্তি ছিলো।

গোলাপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রতন কুমার বলেন, প্রতিদিন ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে রিকশায় আসতাম। তবে রিকশা এ তিন দিন ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করেছে। এ ধরণের ধর্মঘট আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 

মোটরসাইকেল চালক সুবেল আহমদ বলেন, অন্যান্যদের দেখে আমিও গতকাল আমার গাড়ি দিয়ে টিপ দিয়েছি। মুটামুটি ভাল আয় হয়েছে। 

সিএনজি অটোরিকশা চালক জুমেল আহমদ বলেন, জেলার নিয়ম আমাদের মানতে হয়। আমাদেরও কষ্ট হয়েছে। তিন দিন গাড়ি বন্ধ থাকায় অনেক কষ্ট হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ