Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-12-02T08:59:55Z
গোলাপগঞ্জলিড নিউজ

গোলাপগঞ্জ পৌর নির্বাচন : জয় অব্যাহত রাখতে চায় আ.লীগ, দখলে মরিয়া বিএনপি

বিজ্ঞাপন

জাহিদ উদ্দিন: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে থমকে গেছে বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্ব। এমন সংকটময় মুহূর্তের মধ্যেই সময় ঘনিয়ে আসছে পৌরসভা নির্বাচন। গত বছর ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নিয়মানুযায়ী এ বছরের ডিসেম্বর মাসে এসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে।

 এবারে পৌরসভার নির্বাচন ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তবে প্রথম ধাপের তালিকায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

এরপরও গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সব ওয়ার্ডে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে-ময়দানে আগাম প্রচারে সরব হয়ে উঠেছেন। অনেকেই ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, উঠান বৈঠক ও কর্মী সমাবেশ শুরু করছেন। সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোটারদের কাছে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে সবচেয়ে বেশি তোড়জোড় চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে। মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোয়ন দৌড়ে রয়েছে বর্তমান মেয়র, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল ও সাবেক মেয়র, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ পাপলু।এছাড়াও পৌর আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহেল আহমদও নৌকার মনোনয়ন প্রতাশ্যির তালিকায় রয়েছেন। 

ইতিমধ্যে তারা কেন্দ্রে দৌড়ঝাপের পাশাপাশি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক সহ বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মেয়র পদটি রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হাতে। পৌরসভার উপ-নির্বাচনসহ গেল দুই নির্বাচনে নৌকার মাঝি ছিলেন জাকারিয়া আহমদ পাপলু। দুই বারই নৌকার ভরাডুবি হয়। নৌকার প্রার্থী পরাজিত হলেও বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন আওয়ামী বিদ্রোহীরা।

২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল জব্বার চৌধুরী বিজয়ী হন। ২০১৮সালের ৩১মে সিরাজুল জব্বার চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে ১১ জুলাই মেয়র পদটি শূন্য ঘোষনা করা হয়। পরে একই বছরের৩অক্টোবর উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করেন আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেল।

এদিকে পৌরসভার মেয়রের চেয়ারটি দখল করতে মিরিয়া হয়ে উঠেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির ঘরোনার একাধিক প্রার্থী থাকায় তারা পরাজয় বরণ করে। কিন্তু এবার তারা একক প্রার্থী দিবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। 

বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে যার নাম শুনা যাচ্ছে তিনি হলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন। ইতিমধ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কৌশলী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে গোলাপগঞ্জ পৌর নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকগুলোকে প্রার্থী দেবে কিনা এখনো কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। তাদের নির্বাচনী কোন কার্যক্রম বা প্রচারণা চোখে পড়েনি।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল এ প্রতিবেদককে জানান, উপ নির্বাচনে পৌরবাসী আমার উপর আস্তা রেখেছিল। এজন্য আমায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিল। আমি তাদের পবিত্র আমানতের খেয়ানত করিনি। মাত্র দুই বছরে পৌরসভায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা পৌরবাসীর চোখের সামনে দৃশ্যমান। এবারের নির্বাচনেও আমার উপর পৌরবাসী আস্তা রাখবে এবং আমায় আবারো নির্বাচন করবে। সেই সাথে আবারের নির্বাচনে দল আমার উপর ভরসা করবে এবং আমায় দলীয় প্রতিক দেবে বলে আমি আশাবাদী।

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলু বলেন, গত দুই নির্বাচনে দল আমায় নৌকার মাঝি বানিয়েছিল। আশা করছি এবারো আমি নৌকার মাঝি হবো। আমি পৌরসভায় মেয়র থাকাকালীন সময় পৌরসভায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমি আশাবাদী পৌরবাসী আমায় এবার নির্বাচিত করবে। 

 এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পৌর আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহেল আহমদ জানান, দল আমায় মনোনয়ন দিলে আমি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকলের সাহায্য ও সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকার বিজয় উপহার দিবো।

বিএনপির ঘরানার প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন বলেন, এবার জাতীয়তাবাদীদল বিএনপির ঘরোনার একক প্রার্থী নির্বাচন করবেন। আশা করছি বিএনপির মনোনয়ন আমি পাবো। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ