বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : একদিকে মেশিনের ধ্বংসযজ্ঞ আর অপরদিকে চাপা পড়ে শ্রমিকদের মৃত্যুর মিছিল যখন দীর্ঘ হচ্ছিলো তখন হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ করা হয় সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি।
কিন্তু এবার হাইকোর্টের এ নির্দেশকেই উপেক্ষা করে সড়কে মানুষ জিম্মি করার কৌশল বেছে নিয়ে ৭২ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়ে কোয়ারি চালু করার দাবি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ ছাড়া সিলেট বিভাগের বাকি ৩ জেলার পরিবহণ-শ্রমিকরা। কিন্তু এ দাবির সাথে এবার অদ্ভুত এক দাবি উত্তাপন করলেন তারা। সিলেট-হবিগঞ্জ, সিলেট মৌলভীবাজার রুটে যাত্রা শুরু করা বিআরটিসি বাস বন্ধ করার দাবি জানিয়ে প্রয়োজনে তাদের লাশের উপর দিয়ে গাড়ি যাবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সিলেট-শ্রীমঙ্গল ও সিলেট-হবিগঞ্জ রুটে বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেছে সরকারী পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। এই দুই রুটে প্রতিদিন ৬ টি করে বাস চলবে বলে জানিয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। এসব সড়কে সাধারণ যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বিআরটিসি বাস চালু করা হলে এখন খেপেছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। কিন্তু এসব রুটে বিআরটিসি বাস চালু করার খবরে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করলেও পরিবহণ শ্রমিকরা দিয়েছেন হুমকি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেটের কোষাধ্যক্ষ শামসুল হক মানিক সিলেট ভয়েসকে বলেন, আজ থেকে আমরা বিআরটিসি বাস বন্ধে মাঠে নেমেছি। কোন ভাবেই এসব রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল করতে দিবো না। যদি চলাচল করতে হয় তাহলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আমরা সড়কে শুয়ে থাকব। তবুও বিআরটিসি চলতে দিবো না।
সাধারণ যাত্রীরা যেখানে এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন সেখানে আপনারা বিরোধিতা করছেন কেন এমন প্রশ্নে শামসুল হক মানিক বলেন, বিআরটিসি বাস চলাচল করলে আমাদের গাড়ি চলাচল করবে কি করে। আমাদের শ্রমিকরা খাবে কি। যাত্রীরা আমাদের গাড়িতে চরলে সমস্যা কি। আমাদের দাবি হচ্ছে আমরা গাড়ি চালাব খাবো। কিন্তু বিআরটিসি বাস চলাচল করলেতো শ্রমিকরা না খেয়ে মরবে। এসব সড়কে এমনিতেই যাত্রী কম। ট্রেনেই বেশি চড়েন যাত্রীরা। তাই বিআরটিসি বাস চালাতে হলে অন্য রুটে চলুক।