Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-01-22T05:36:48Z
সিলেট

খাদিমনগরে যুবক হত্যা: হাতে ফাম্মি নাম লেখা নিয়ে রহস্য

বিজ্ঞাপন

জি ভয়েস ডেস্ক: সিলেট শহরতলির শাহপরাণ থানাধীন খাদিম বিআইডিসি এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া তরুণ  নাইম আহমদের হাতে লেখা ফাম্মি নামের এক তরুণীকে ঘিরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে ফাম্মির সাথে নিহত নাইমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তদন্তে এরকম তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ফাম্মির সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় অন্যদের সাথে এনিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।

ইতোমধ্যে পুলিশের একটি দল ফাম্মিসহ কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।  এদিকে বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নিহত নাইমের ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখন শাহপরাণ থানায় মামলা হয়নি। নিহত নাইম শাহপরাণ এলাকার প্রত্যাশা ১১৯নং বাসার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। শাহপরাণ মাজার গেইট এলাকার তার পিতার মাছের ব্যবসা রয়েছে।  তবে ঘটনার পর থেকেই রাব্বি ও সবুজ পলাতক রয়েছে।

শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, নাইম হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে নিহত নাইমের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পুলিশ বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, নিহত নাইমের বাম হাতে ট্যাটু রয়েছে। সেই ট্যাটুতে (এন প্লাস এফ) লেখা রয়েছে। সেই সাথে বাম হাতে একাধিক পুরাতন ব্লেডের কাটা দাগ আছে। নাইম পেশায় একজন শ্রমিক। ঘটনার দিন নাইমের কাজ না থাকায় বাসায় ছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে নাইমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দ্রুত আসার তাগিদ দেয় নাইমের বন্ধু সবুজ ও রাব্বি।  নাইমের বুক, পিঠ ও হাতে ছোট-বড় ৮টি ধারালো ছোরার আঘাত রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুতর আঘাতটি বুকের। আঘাতটি বেশ গভীর হওয়াতে অতিরিক্ত রক্ত করণের নাইমের মৃত্যু হয়। বাসা থেকে বের হওয়ার পূর্বে নাইম তার বোনকে দ্রুত ভাত দেয়ার জন্য বলে। ফোনের তাড়ায় ভাত না খেয়ে বেরিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আনিস  নামের এক সিএনজি ড্রাইভার শাহপরান থানায় ফোন করে জানায় শাহপরান থানাধীন কৃষি-খামার সুইচ গেট সংলগ্ন প্রধান সড়ক হতে প্রায় ১ কিমি ভিতরে পায়ে হাঁটা রাস্তার পাশে একজন যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। শাহপরান থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং অজ্ঞান অবস্থায় নাইমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাইমের বোন রুজি বেগম জানান,  নাইমের বন্ধু সবুজ এবং রাব্বি তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তাদের ফোনের তাড়ায় আমার ভাই ভাত না খেয়ে বেরিয়ে যায়। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে হত্যা করা হয়।
 
নাইমের মামা আলাউদ্দিন জানান, রাব্বি, সবুজ  মাদক সেবনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তারা মৃত নাইমকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। নাইমের  হাতে ফাম্মি নামের এক তরুণীর নাম লেখা থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ