বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: নগরীর জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা রোডে রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধে অভিযান করছে সিসিক। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) থেকে ওইসব এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও, আজ শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল করছে। এমন বাস্তবতায় শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে শনিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরের পরে ওইসব এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধে অভিযান চালায় সিসিকের স্বেচ্ছাসেবীরা। এসময় অনেক রিকশা,ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির চালককে চৌহাট্টা ও বন্দরবাজার পয়েন্ট থেকে ফিরিয়ে দিয়ে তাদেরকে বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য বলা হয়। তবে অনেকই তা মানতে নারাজ। এর আগে নগরীর বন্দরবাজর থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত যানজট নিরসন ও সড়ক নিরাপত্তায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। দিন-দশেক পূর্বে সেই সিদ্ধান্তের পর সপ্তাহজুড়ে নগরীতে চলে মাইকিং। প্রচারণা চলে গণমাধ্যমেও। অথচ শুক্রবার ও শনিবার সকাল থেকেই জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এসময় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তারা বাধা দেননি।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, নগরীর বন্দরবাজর-জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত যানজট নিরসন ও সড়ক নিরাপত্তায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। আমরা আমাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাবো। দুপুর থেকেই সিসিক অভিযান শুরু করেছে।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিসিক এবং তাদের স্বেচ্ছাসেবক বা আনসার দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করবে। এ বিষয়ে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ আপাতত কোনো দায়িত্ব পালন করবে না। তবে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এসএমপি’র পুলিশ সদস্যরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরো বলেন, সিলেট নগরীর যানজট নিরসনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এক সাথে কাজ করবে।
তবে সিসিক সূত্র জানায়, জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা মোড় পর্যন্ত সড়কটি একমুখী (ওয়ানওয়ে) যান চলাচল থাকলেও সম্প্রতি সড়ক বিভাজক স্থাপন করে দ্বিমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সড়ক বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এখনো চলছে। জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার সড়ক এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসহ সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে। এ ছাড়া নগরীর প্রধান প্রধান বিপণি বিতানগুলোও জিন্দাবাজারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থিত। পুরো এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এসব উন্নয়ন কার্যক্রম শেষে পুরো এলাকাকে নগরীর একটি আদর্শ এলাকায় রূপান্তর করার পরিকল্পনায় যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সিসিকের পক্ষ থেকে ১ জানুয়ারি থেকে জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে সম্প্রতি মাইকিং করে প্রচার করা হয়।
