বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত ইনায়া মেনশনের চতুর্থ তলায় ছাত্রীদের মেসের রুমে তালা ভেঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করে এক বহিরাগত যুবক। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়াসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে এই যুবকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম সাজ্জাদ হোসেন মঞ্জু। তিনি নগরীর কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ইনায়া মেনশনের চারতলার ফ্ল্যাটের মূল গেটের দরজা ভেঙ্গে করিডোরে প্রবেশ করে এক বহিরাগত যুবক। এসময় দুইটি ফ্ল্যাটের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করেন তিনি। তালা ভাঙ্গার চেষ্টাকালে ফ্ল্যাটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাইরে বেড়িয়ে আসেন।
এসময় ছাত্রীকে দেখে বহিরাগত যুবকটি তাকে হুমকি, গালিগালাজ দেয়াসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনার সময় ভিক্টিমসহ ঐ মেসের ছাত্রীরা নিচে নেমে চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করে। পরে এই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে এ ঘটনা ঘটার আধা ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে দেখা যায় নি প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যদের কাউকে। এ নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের ঘটনায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়ে গেলেও কোনো শিক্ষককে সেখানে দেখা যায় নি। যুবককে আটক করার পর প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে আসেন।'
বিষয়টি অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, বহিরাগত যুবকটিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আমরা ঐ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গার্ড মোতায়েন করেছি এবং মালিক পক্ষ ঐ বাসার নিচে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ইনায়া মেনশনের মালিক জিডি করবেন বলে জানান তিনি।
তবে জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মালিকপক্ষ কেউ মামলা করতে রাজি হন নি। পুলিশ এ বিষয়ে মামলা করে গৃহে অনুপ্রবেশের ধারায় ওই যুবককে কোর্টে চালান করা হয়েছে।