Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-03-20T13:26:14Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জে তিন ভাইকে টাকা ধার দিয়ে বিপাকে ইউপি সদস্য

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো পাওনাদারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কিসমত মাইজভাগ ফকিরপাড়া গ্রামের তিন ভাই সুমন, রাজু ও হাসনাতের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য রুহেল আহমদ।

শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন করেন তিনি। রুহেল আহমদ পশ্চিম নিমাদল গ্রামের ছয়ফুল ইসলাম আরব আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে রুহেল আহমদ বলেন, হেতিমগঞ্জ বাজারে ব্যবসা সূত্রে ওই তিন ভাইয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। গত ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবসার জন্য তার কাছ থেকে তারা মোট ৫৬ লক্ষ টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তিন ভাই। বাধ্য হয়ে তিনি তাদের পরিবার, গ্রামের পঞ্চায়েতসহ বিভিন্নভাবে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেও কোন সুফল পাননি। পরে ২০১৭ সালে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় শালিস বসলে তারা টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে ৭টি ব্যাংক চেক দেয়। চেক দিয়েই কিছুদিনের মধ্যে সুমন ফ্রান্স ও হাসনাত দুবাই পাড়ি জমান। পরে বুঝতে পারেন এটি তাদের প্রতারণারই অংশ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৭ টি চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ২০১৮ সালে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানালে তিনিও দেশে থাকা সুমনসহ তাদের পক্ষের লোকদের ডেকে এনে কারণ জানতে চাইলে তারা টাকা ফিরত দিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আবারো আগের মতেই টাকা না দিয়ে ছলচাতুরি করতে থাকে। রুহেল অভিযোগ করে বলেন, চেক ডিজঅনার মামলা হওয়ায় তারা মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে তৎপরতা শুরু করে। দেশে থাকা সুমন এবং বিদেশে অবস্থানরত রাজু ও হাসনাত ফোনে শালিসদের ডেকে বৈঠকের ব্যবস্থা করে। ২০১৯ সালের ৩০ জুন বৈঠকে একটি অঙ্গীকারপত্র করা হয়। অঙ্গীকারের শর্তানুসারে তারা ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে এবং বাকি টাকা ৪টি চেকের মাধ্যমে প্রদান করবে। এরই মধ্যে চেক ডিজঅনার মামলার মধ্যে একটি মামলার রায় হয়ে যায় এবং বাকি ৬টি মামলা তিনি প্রত্যাহার করে নেন।

এসব তাদের প্রতারনার কৌশল ছিল উল্লেখ করে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তারা ৬ লক্ষ টাকা ও ৪টি চেক দিলেও তাদের এক মধ্যস্থতাকারী মুহিব মিয়া মিথ্যা কথা বলে তার থেকে চেক ৪টি ও অঙ্গীকারনামার মূল কপি নিয়ে যায়। পরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সুমন তাদের সাথে শালিসদের করা অঙ্গীকারনামা ভুয়া, জাল চুক্তি সম্পাদন ও কোন টাকা লেনদেন হয়নি অভিযোগ করে আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে বাধ্য হয়ে তিনি গত ৯ মার্চ ৩ ভাই ও তাদের সহযোগী মুহিব মিয়াকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

রুহেল আহমদ বলেন, ৩ ভাইয়ের প্রতারণায় তিনি এখন নিঃস্ব এবং ব্যাংক ঋণে জর্জরিত। জায়গা বিক্রি, প্রবাসী ভাইদের দেয়া অর্থ এবং নিজের ব্যবসার কষ্টার্জিত টাকা তারা আত্মসাৎ করে নিয়েছে। মামলা করার পর তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশসন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ