Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-08-29T17:38:39Z
জানা-অজানা

ডিম পাড়া পাহাড় : একেকটি ডিম পাড়তে সময় লাগে ৩০ বছর !

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : মুরগি আগে না ডিম আগে পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে এখনো চলছে এই বিতর্ক। তবে হাঁস মুরগি ছাড়াও অনেক প্রাণী ডিমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। এটি খুব পুরনো একটি তথ্য। তবে কোনো পাহাড়ও যে ডিম পাড়ে, একথা জানতেন কি? হ্যাঁ, পাহাড়ের আঞ্চলিক নাম “চান দান ইয়া”।  এর বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় “ডিম পাড়া পাহাড়” বা এগ মাউনটেইন। 

চীনে অবস্থান এই পাহাড়টির। এই পাহাড়টি আসলে গানডেং পর্বতশ্রেণীর একটি অংশ। অবাক হয়ে অনেকেই ভাবছেন একটি পাহাড়ে কী করে ডিম পাওয়া যেতে পারে। পাহাড়ের যে অংশে আপনি ডিম পাবেন সেটি লম্বায় ৯ ফুট এবং চওড়ায় প্রায় ৬৫ ফুট। তবে এক একটি ডিম পাড়তে পাহাড়ের সময় লেগে যায় প্রায় ৩০ বছর। এরপর ডিম ধীরে ধীরে পরিণত হতে হতে পাহাড়ের পাদদেশে এসে জমা হয়। চীনের গুউঝু প্রদেশের কিয়ানান বুয়ী ও মিয়াও অঞ্চল জুড়ে এই পাহাড় রয়েছে। তবে ডিমগুলো সত্যিকারের নয়। পাথরের! 

একেকটি ডিম পাড়তে পাহাড়ের সময় লাগে ৩০ বছর

এগুলো ডিমের মতো গোল ও মসৃণ হওয়ায় একে ডিম ভেবে অনেকেই ভুল করেন। এগুলো আসলে পাথর যা এমন আকার ধারণ করেছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে। তবে পাহাড় কি করে ডিম পাড়তে পারে সে প্রশ্নের উত্তর এখনো ঠিকমতো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ডিম ভর্তি পাহাড় দেখতে পর্যটক ভিড় করছেন এখানে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই পর্বতশ্রেণী পাললিক শিলা দিয়ে গঠিত হলেও এই অংশটি তার ব্যতিক্রম কারণ এটি গঠিত হয়েছে চুনাপাথর দিয়ে। মনে করা হয় যে চুনাপাথর নরম হওয়ায় তা সহজে ক্ষয় হয় এবং সেগুলো ধীরে ধীরে জমা হতে হতে ডিমের আকার ধারণ করে। তবে এমন ডিমের মতোই গোল কি করে হতে পারে পাথরগুলো তা ভাবাচ্ছে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদেরও। সেখানে যে চুনাপাথর রয়েছে তা প্রায় ৫০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল।

তবে সেগুলো এখনও কি করে অক্ষত রয়েছে সেটি একটি প্রাকৃতিক রহস্য। বাড়ির কাছে যে গ্রাম অবস্থিত সেখানকার বাসিন্দারা আবার এই পাথরগুলোকে ঈশ্বরের দান বলে মনে করেন। তারা রীতিমতো পুজো করেন এই পাথরের টুকরোগুলোকে। এক একটি বাড়িতে একটি করে এমন ডিম দেখতে পাবেন আপনি। 

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে একেকটি ডিম

বর্তমানে এখানে ডিম ভর্তি পাহাড়ের আকর্ষণে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হওয়ায় ডিমগুলোকে নাকি চড়া দামে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ডিমগুলো খসে পড়ার অনেক আগেই তা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। 
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ