Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-03-10T09:12:00Z

গরীবের ডাক্তার বিয়ানীবাজারের মাহফুজুর রহমান খালেদ

বিজ্ঞাপন

জাহিদ উদ্দিন : ডাক্তার মাহফুজুর রহমান খালেদ (এমডি, এফ এ সি পি) থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের শ্রীধরা গ্রামে। তার পিতা মাওলানা ছমির উদ্দিনও একজন সমাজসেবক ছিলেন। 

মাহফুজুর রহমান খালেদ যুক্তরাষ্ট্রে ডাউনস্টেট হেলথ সাইন্স ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ও ডিপার্টমেন্ট অব মেডিসিনের ভাইস চেয়ারম্যানের হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি প্রথম সারীর যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি এলাকার মানুষকে ভুলে যাননি। 

তিনি প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে দুই বার দেশে আসেন। যতদিন দেশে থাকেন ততদিন তিনি এলাকার মানুষকে বিনা ফিতে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এতেই শেষ নয় যেসব রোগীর আর্থিক অবস্থা খারাপ তাদের ঔষধের জন্যে টাকাও দিয়ে থাকেন। এজন্য তিনি এলাকায় গরীবের ডাক্তার নামে পরিচিতি লাভ করেছেন। 

ডাক্তার মাহফুজুর রহমান খালেদ যখনি দেশে আসেন শুধু বিয়ানীবাজার উপজেলা নয়, বড়লেখা, গোলাপগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে হতদরিদ্র রোগীরা বাড়িতে ভীড় জমান। 
সম্প্রতি ডাক্তার মাহফুজুর রহমান খালেদ দেশে আসলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ানীবাজারের শ্রীধরা গ্রামের মৌলানা মঞ্জিলে রোগীদের উপচেপড়া ভীড়। তিনি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতাও করে যাচ্ছেন। 

বিয়ানীবাজারের পৌর এলাকার ফতেহপুর থেকে আহমদ আলী জানান, আমার পায়ে সমস্যা। আরো শারীরিক সমস্যা রয়েছে। টাকার অভাবে ভালো কোন ডাক্তার দেখাতে পারছিলাম না। ডাক্তার মাহফুজুর রহমান খালেদের কাছে ফ্রি চিকিৎসা নিচ্ছি। উনি আমাকে আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন।

মনির হোসেন নামের আরেক রোগী জানান, আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারছিলাম না। লোকমুখে ডাক্তার মাহফুজুর রহমান খালেদের কথা শুনে বড়লেখা থেকে এখানে এসেছি। উনি আমায় পরীক্ষা করে ঔষধ দিয়েছেন। পাশাপাশি আমার আর্থিক অবস্থার খবর জেনে তিনি আমায় কিছু টাকা প্রদান করেছেন।

ডাক্তার মাহফুজুর রহমান খালেদ এ প্রতিবেদককে জানান, আমার পিতা মাওলানা ছমির উদ্দিন আহমদ মানুষের সেবা করার জন্য আমাদের উৎসাহ প্রদান করতেন। উনার ইচ্ছা ছিল আমি যেন চিকিৎসক হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করি। এজন্য আমি চিকিৎসক হয়ে বছরে কমপক্ষে দুবার এসে এলাকার মানুষের সেবা করি। 
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ