বিজ্ঞাপন
গােলাপগঞ্জে ভুয়া ১২ প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযােগে দুদকের করা মামলায় গােলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ পাপলু, তকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব যুগেশ্বর চ্যাটার্জি, কার্যসহকারী সাব্বির আহমদ এবং অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুদক সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক দেব্রত মন্ডল বাদি হয়ে গােলাপগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালে ১২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তৎকালীন মেয়র পাপলু প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তদন্ত শেষে দুদকের তদন্তকারী জাকারিয়া আহমদ পাপলুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মাে. নুর-ই-আলম বলেন, জৈন্তাপুরের লিয়াকতসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলায় চার্জশিট এবং গােলাপগঞ্জ পৌরস- ভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, তকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব যুগেশ্বর চ্যাটার্জিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার চান্সশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
এদিকে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ সিলেটের সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে জৈন্তাপুরের রানের মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে মনির আহমদ বাদী হয়ে জৈন্তাপুরের নিজপাট ইউনিয়নের ৪ কোটি টাকা মুলাের সরকারি ভূমি অবৈধভাবে কেনাবেচার অভিযােগে এ মামলায় জৈন্তাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড (সহকারী, মুনতাসির হাসান, সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নিত্যানন্দ দেব ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, পাথরখেকাে লিয়াকত।
গ্রামের মৃত আবদুল মালিকের ছেলে আখলাকুল আম্বিয়া, বাউরবাগ গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী ওরফে টেনাইয়ের ছেলে নে, মুসলিম আলী, মাে, কলিম উদ্দিনের ছেলে মাে. দেলােয়ার হােসেন, সত্যেন্দ্র বিশ্বসের ছেলে সঞ্চয় বিশ্বাস, মঈন উনের ছেলে ফরিদ উদ্দিন, উমনপুর গ্রামের মৃত মুহিম শ্রালীর ছেলে সাপ্তাৰ আলী, জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার ও তুমি অফিসের সহকারী কমিশনার ইনছা) খালেদুর রহমান, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাবেক সহকারী কর্মকর্তা আবদুর রহিম, বীৱৰাই রামের বাসিন্দা ও উপজেলা সাবরেজিষ্টি অফিসের সাবেক সাবরেজিস্ট্রার ৰেৰহন জিন সরকার, দলিল লেখক জন উদ্দিন, দলিল লেখক মীর জাহান, পূনিক গ্রামের মাে. নজিরদিনের ছেলে মোহন হী। তশেষে পলক মামলার আমি মশলা আথিয়া চৌধুরী, মাে. মুসলিম আলী, লিয়াকত আলী, আজিমন, মাে. মীর জাহান ও মম, বােরহান উজিন সরকারকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করা হয় আদালতে এর আগে বির্তকিত
আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী ও জৈন্তাপুরের সাবেক সাব। রেজিস্ট্রারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ১ মার্চ মামলা দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালায় চার্জশিট অনুমােদন করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশিস্নষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় অভিযােগ প্রমানিত না হওয়ায় তালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদুর রহমানসহ ১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১ মার্চ লিয়াকতসহ ৬ জন ও ৮ ফেব্রুয়ারি গােলাপগঞ্জের সাবেক মেয়র পাপলুর বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমােদন করে দুদক।
সূত্র : দৈনিক সবুজ সিলেট
