বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : করোনায় সঙ্কটে পড়া মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত উপহারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে বানিয়াচংয়ের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তবে ধরা পড়ে শেষ মূহূর্তে তিনি টাকা ফেরত দেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের মতো হবিগঞ্জে বানিয়াচং উপজেলার ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষেরাও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২৫০০ টাকা পান। কিন্তু ওই ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজার জান্নাত ভেরাইটিজ স্টোরের সত্ত্বাধিকারী ও উপজেলা যুবলীগের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান খেলু’র বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাহকের চাপে সেই টাকা ফেরত দেন তিনি।
জানা যায়, গত ১১ মে বিকাল ৫টায় লিটন দেব, স্বপন দেব, নুরুল মিয়া ও কেনু মিয়ার মোবাইল নাম্বারে প্রণোদনার টাকার ম্যাসেজ আসে। পরবর্তীতে টাকা উত্তোলন করতে তারা এই ম্যাসেজ নিয়ে খেলু মিয়ার বিকাশের দোকানে যান। সেখানে টাকা উঠাতে গেলে ভূয়া ম্যাসেজ বলে নানা টালবাহানা করে তাদেরকে ফিরিয়ে দেন খেলু। এই ফাঁকে প্রণোদনার টাকা নিজের বিকাশ নাম্বারে নিয়ে উত্তোলন করে ফেলেন খেলু। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা বিকাশের অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তাদের এই টাকা খেলু মিয়ার বিকাশের এজেন্ট (০১৭৫১-৫৫৪৫৪৫) নাম্বারে উঠানো হয়েছে।
এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়দের চাপে ঘটনার ১২দিন পর গত মঙ্গলবার সেই টাকা ফেরত দিলেন খেলু।
এ বিষয়টি বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া অবহিত হয়ে বাজার ব্যবসায়ী আঙ্গুর মিয়ার হস্তক্ষেপে সেই আত্মসাতকৃত ১১ হাজার প্রণোদনার টাকা ফেরত পান ভুক্তভোগীরা।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান খেলু জানান, আমার বিকাশ নাম্বারে টাকা এসেছে ঠিকই কিন্তু কোনো ম্যাসেজ আসেনি। পিন নাম্বার ভুল থাকায় এমনটা হয়েছে। তবে সেই টাকা আমি তাদেরকে ফেরত দিয়ে দিছি।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের টাকা আত্মসাত করা ঠিক হয়নি। আর যাতে কেউ এভাবে আত্মসাত করতে না পারে সেজন্য আজিজুর রহমান খেলুকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
সূত্র : সিলেটটুডে২৪