Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-06-15T10:07:25Z
গোলাপগঞ্জলিড নিউজ

গোলাপগঞ্জে কটলীপাড়া-বসন্তপুর রাস্তার বেহাল দশা

বিজ্ঞাপন
রাস্তাতো নয় যেন চাষ করা জমি!

জাহিদ উদ্দিন : গোলাপগঞ্জ উপজেলা বাদেপাশা-শরীফগঞ্জ ইউনিয়নবাসীর হাজারো মানুুুষের চলাচলের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম কটলীপাড়া-বসন্তপুর সড়ক। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে এই সড়কটিতে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসেই শুধু থাকতে হয় এ অঞ্চলের ভুক্তভোগীদের। রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা দেখলে মনে হয় যেন চাষ করা জমি। 

জানা যায়, উপজেলা কুশিয়ারা পারের দুটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা হচ্ছে কটলিপাড়া-বসন্তপুর সড়ক। এছাড়াও বিয়ানীবাজার, বড়লেখা ও ফেঞ্চুগঞ্জের সাথে গোলাপগঞ্জের সংযোগও স্থাপন করেছে এই রাস্তাটি। বাদেপাশা ইউনিয়নের বাগলা গ্রাম থেকে শুরু করে শরীফগঞ্জের বসন্তপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫কিলোমিটার এই সড়কটি কাদা মাটিতে একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুশিয়ার অঞ্চলবাসী। 

২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় গেলে আবারো তৎকালীন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এ রাস্তাটির অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এরপর বুধবারীবাজার ইউনিয়নের কটলিপাড়া থেকে বাদেপাশা ইউনিয়নের মোল্লাকোণা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার পিচঢালাই সম্পন্ন করেন। কিন্তু এর পরেই অচেনা কারণে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তাটির কাজ। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় কাদা মাটিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন জাগায় পানি জমে বড় বড় খানখন্দে সৃষ্টি হয়ছে। এসময় রাস্তার একটি অংশে ধানের চারা রোপন করতে দেখা যায়। এবিষয়ে এলাকাবাসী জানান, তারা প্রতিবাদ স্বরূপ রাস্তায় ধানের চারা রোপন করেছেন।   

এলাকাবাসীর আরো জানান, সংসদ সদস্য সহ জনপ্রতিনিধিরা শুধু এ রাস্তাটির কাজের জন্য আশ্বাস দেন কিন্তু বাস্তবে তা রুপ পায়না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির জন্য প্রতিদিন হাজারো মানুষকে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির উন্নয়ন করতে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সকল জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টিও কামনা করেন তারা।  
কটলিপাড়া গ্রামের সুহেল আহমদ জানান, কুশিয়ারা অঞ্চলের মানুষদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনার কেউ নেই। সবাই ভোটের সময় উন্নয়নের আশ্বাসে নামে এ অঞ্চলের সহজ সরল মানুষদের ধোকা দেয়। 

বাগলা গ্রামের ফখরুল ইসলাম জানান, রাস্তার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টেরমধ্যে পড়তে হয় অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মায়েরা। কুশিয়ারা অঞ্চলের এই কষ্টের শেষ কবে হবে কারো জানা নেই। 

বাগলা গ্রামের সমাজসেবী, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান জানান, রাস্তাটি দেখে মনে হয়না এ এলাকার মানুষ বাংলাদেশের ভিতরে বসবাস করছেন। এত বেহাল অবস্থা রাস্তার। যানবাহনতো চলাচলতো দূরের কথা মানুষজন জুতা হাতে নিয়ে চলতে হয়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কুশিয়ারা অঞ্চলের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থায় অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে । রাস্তাটির উন্নয়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ