বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের শহরতলী এয়ারপোর্ট এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে এক গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় আমিনুর রহমান নামে একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে শহরতলীর এয়ারপোর্ট এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন গৃহবধুটি। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে গৃহবধূটির বাবা-মা তাকে বাসায় একা রেখে তার সন্তান (৩) কে নিয়ে ধোপাগুলস্থ তাদের রেস্টুরেন্টে যায়। রাত অনুমানিক ৮ টা ১৫ মিনিটে এক সন্তানের ওই জননী ঘরের বাহিরের বাথরুমে যান। পরে তিনি আবার ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে শুতে যান।
এমন সময় হঠাৎ এলাকার আমিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি গৃহবধূটিকে বিছানার উপর ফেলে ঝাপটে ধরে। তখন গৃহবধুটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে আমিনুর রহমান মেয়েটির ওড়না দিয়ে তার মুখে চাপ দিয়ে ধরে নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এদিকে রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে গৃহবধুটি বাবা-মা বাড়িতে ফিরে এসে দরজা বন্ধ পেয়ে মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করলে আমিনুর রহমান ঘরের পেছনের দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে আমিনুর রহমানকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন গৃহবধূটির বাবা-মা।
পরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানান। পরে রাতেই থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়েটিকে নারী পুলিশের সহযোগিতায় থানায় নিয়া আসেন এবং বিস্তারিত শোনেন।
পরে মেয়েটি থানায় হাজির হয়ে আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। এজাহার দায়েরের পর এয়ারপোর্ট থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, ‘গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগকারী থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’