Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-10-18T09:04:26Z
সিলেট

সাদা পাথরের নীল জ্বলে প্রশান্তি, ফিরতে ভোগান্তি

বিজ্ঞাপন

জি ভয়েস ডেস্ক : হ্যালো, ভাই। কোথায় আছেন? আমরা তো অনেকক্ষণ ধরে ঘাটে দাঁড়িয়ে আছি। আপনার আসতে কতক্ষণ লাগবে। মহিলা-বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না, দ্রুত আসেন ভাই।

এমনই ‘বিরক্তিসূচক’ ফোনালাপ শোনা যায় সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরের খেয়াঘাটে। স্পট থেকে ফিরতে নৌকার মাঝির সঙ্গে এভাবেই বারবার যোগাযোগ করতে হয় পর্যটকদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে করতে মেলে মাঝির দেখা।

নৌকা সঙ্কটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে অবস্থিতি সাদাপাথরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের। নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার পাশাপাশি  স্পট থেকে ফিরতে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সাদাপাথরের স্বচ্ছ নীল জলে গা ভিজিয়ে পর্যটকদের মনে যে প্রশান্তি আসে, ফেরার পথে তা রূপ নেয় ভোগান্তিতে।

এছাড়া সাদাপাথরে নৌকা ভাড়া নিয়েও আছে নৈরাজ্য। নদীপথে মাত্র এক কিলোমিটার পথে পর্যটকদের নৌকা ভাড়া গুণতে হয় ৮০০ টাকা। প্রতিটি নৌকার জন্য যাত্রীর সংখ্যাও সীমিত। এভাবে বাড়তি টাকা খরচ ও নৌকা পেতে ভোগান্তির শিকার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর থেকে জিরো পয়েন্টে পর্যটকদের নামিয়ে দিয়ে ফের ট্রিপ ধরতে ঘাটে আসে নৌকাগুলো। এতে ঘাটে লম্বা সিরিয়ালের গ্যাড়াকলে পড়তে হয় মাঝিদের। অন্যদিকে ঘোরাফেরা শেষে জিরো পয়েন্টে নৌকার জন্য অপেক্ষায় থাকেন পর্যটকরা। সেখানে বসার ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাদের। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রশান্তির সাদাপাথর এখন ভোগান্তির অন্য নাম।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা পর্যটক সামিউর রহমান বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। মাঝি বলছে আসতেছি, কিন্তু কখন আসবে ঠিক নেই। তপ্ত রোদে পরিবার নিয়ে বিপদে পড়েছি। এ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ জরুরি।

সিলেট নগরের খাসদবির এলাকার আব্দুল লতিফ বলেন, সাদাপাথরের স্বচ্ছ নীল জলে শরীর ডুবিয়ে যে প্রশান্তি দূর হয়। নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে তা আবার বিরক্তিতে পরিণত হয়। নৌকা ভাড়া ও যাতায়াতে পর্যটকদের পক্ষে কিছু নিয়ম করা প্রয়োজন। এছাড়া সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও উন্নত করা প্রয়োজন। এতে সাদাপাথরের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সুমন আচার্য্য বলেন, আমি একা তো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সাদাপাথর নিয়ে উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভায় আলোচনা করব। পর্যটকদের ভোগান্তি নিরসনে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সাদাপাথরের ১০ নম্বর খেয়াঘাটে পর্যটকদের বসার জায়গা ও শৌচাগার স্থাপনে একটি প্রকল্প পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন হাতে নিয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ