Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-01-10T15:39:32Z
বিয়ানীবাজার

বরুদল নদীর উপর সেতু নির্মাণ, বিয়ানীবাজার-বড়লেখাবাসীকে মন্ত্রী সাহাব উদ্দিনের চমক

বিজ্ঞাপন

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : ’কাজের’ মানুষ বন ও পরিবেশমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন আহমদ। মন্ত্রীত্বের মাঝামাঝি মেয়াদে চমক দেখিয়ে উৎফুল্ল করেছেন বিয়ানীবাজার-বড়লেখার হাজারো মানুষকে। তাদের কষ্ট লাঘবে নিয়েছেন যুগোপযোগী উদ্যোগ।

দেশ স্বাধীনের দীর্ঘসময়েও যে অঞ্চলের প্রতি কেউ মুখ ফিরিয়ে তাকায়নি, সে অঞ্চলের জীবনমান উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা নিয়েছেন এই মন্ত্রী।

আজ ১০ জানুয়ারী সকালে বিয়ানীবাজার-বড়লেখার মধ্যে সেতুবন্ধনকারী বরুদল নদীর উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর করবেন তিনি। যে নদী আলাদা করে রেখেছে দুই উপজেলাকে। বিশেষ করে তিলপাড়া ইউনিয়নের বিস্তির্ণ জনপদ উপকৃত হবে এখানে সেতু নির্মাণ হলে। অথচ এখানে সেতু নির্মাণের জন্য বড়লেখা-বিয়ানীবাজারের হাজারো মানুষের আকুতি কেউ শুনেনি এতদিন।

প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে বরুদল নদীর উপর সেতু নির্মিত হবে। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ মে তারিখে সরকারি নোটিফিকেশন নম্বর ৫৪৩৩-এর মধ্য দিয়ে জলঢুপ থানাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। সেই থেকে পৃথক হয় বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা থানা।সুনাই নদী বা বরুদল নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্ত:সীমান্ত নদী।

এর দৈর্ঘ্য ৪৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৮১ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক সুনাই নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৮৪।

সোনাই-বরুদল নদী ভারতের আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উৎপত্তি লাভ করে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং ওই উপজেলায় প্রবাহিত হয়ে কুশিয়ারা নদীতে মিলিত হয়েছে। নদীটির প্রবাহপথে বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি অবস্থিত।

নদীটিতে সারা বছর পানি প্রবাহ থাকে । শুষ্ক মৌসুমে এই প্রবাহ নেমে গিয়ে ৫ মিটার সেকেন্ডে পৌছায়। বর্ষা মৌসুমে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮৮ ঘনমিটার /সেকেন্ড উঠে। তবে এই নদীতে সচরাচর বন্যা হয় না।

তিলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, তিলপাড়া অঞ্চল ও বড়লেখার বর্নি অঞ্চলের মানুষের মিলনস্থল হচ্ছে ফকির বাজার ৷ অথচ একটি সেতুর অভাবে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটতো।

এই সেতু নির্মাণ হলে বড়লেখাবাসীর চেয়ে বিয়ানীবাজারের মানুষ বেশী উপকৃত হবে। তিনি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় বন ও পরিবেশমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

তিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফকু মিয়া বলেন, সেতুর অভাবে শিক্ষা, সামাজিক যোগাযোগ কিংবা বানিজ্যিক যোগাযোগ অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে তিলপাড়ার এই জনপদ।

অবশেষে এই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে যাচ্ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আমরা মন্ত্রী মহোদয়কে স্বাগত জানাই।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ