বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : গত ২৬ ডিসেম্বর সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বৈটিকর বাজারস্থ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চশমা প্রতীকের সমর্থক ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে লক্ষীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ রাম্পা গ্রামের ম্যাকানিক আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
এঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মহরম আলী বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন৷ ঘটনার দিন রাতে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়৷
এদিকে মামলায় ৪০০ জনকে অজ্ঞাত রাখায় গ্রেফতারের ভয়ে সংঘর্ষের দিন রাত থেকে পুরুষশূন্য হয়ে পরেছে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, টিকরপাড়া, মিরাপাড়া, পশ্চিমপাড়া, হাজিপুর নওয়াপাড়া গ্রাম।
অসহায় হয়ে পড়েন প্রত্যেকটি বাড়ির মহিলারা৷ বাড়িতে পুরুষ নেই, সেই ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতেন বাড়ির মহিলারা। ছিল চুরি-ডাকাতির ভয়। অনেক বাড়িতে খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে। গত ৭ দিন থেকে বন্ধ রয়েছে বৈটিকর বাজারসহ এলাকার সব দোকানপাট।
আজ রোববার (২ জানুয়ারি) এলো আশারবাণী। আগামীকাল সোমবার থেকে বৈটিকর বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা খুলতে পারবেন দোকানপাট। গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি ছাড়া নিরীহরা ফিরতে পারবেন বাড়িতে৷
আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় গোলাপগঞ্জ থানা প্রশাসনের সাথে গণমান্য ব্যাক্তিবর্গের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী ফখর, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, ইউপি সদস্য আজমল হোসেন মনি, বিশিষ্ট মুরব্বি সালেহ আহমদ, মখতার আলী, গোলাপগঞ্জ ট্রাক-পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সায়েল আহমদ, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সুমন আলী।
জানা যায়, 'গোলাপগঞ্জ থানা প্রশাসনের সাথে দীর্ঘ সময়ের আলোচনায় হয়। আলোচনা সভায় বিভিন্ন দিকে তুলে ধরা হয়। এসময় প্রশাসন উপস্থিত নের্তৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেন, 'আগামীকাল সোমবার থেকে বৈটিকর বাজারের সকল দোকানপাট খুলা যাবে। যারা নিরীহ তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন। তাদেরকে হয়রানী করা হবে না। তবে ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।'
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, 'আগামীকাল সোমবার থেকে বৈটিকর বাজারের সকল দোকানপাট খুলা যাবে। যারা নিরীহ তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন। তাদেরকে হয়রানী করা হবে না। তবে ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।'
