Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-01-09T08:29:48Z
সিলেট

প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে, সিলেটের তরুণীর লাশ ঢাকায়

বিজ্ঞাপন

জি ভয়েস ডেস্ক: ফারহানা আক্তার নাদিয়া (১৮)। সে সিলেট নগরীর রায়নগর দর্জিপাড়া এলাকার মাসুম মিয়ার মেয়ে। বছর দেড় এক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আসিফুর রহমান নামের এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়, অত:পর দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রতিদিনই মুঠোফোনের মাধ্যমে কথাবার্তার পাশাপাশি ভিডিও কলের মাধ্যমেও একে অপরকে দেখতেন। এভাবে কেটে যায় কয়েক মাস। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে প্রেমিক আসিফুরের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নাদিয়া। এতেই কি শেষ- বিয়ে সাড়ে ৭ মাসের মাথায় নাদিয়ার নিথর মরদেহ পড়ে আছে হাসপাতালের মর্গে। তার শেষ পরিণতি এমনটা হবে কেউ মেনে নিতে পারছেন না।

শনিবার সকালে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিডফোর্ট) হাসপাতালের মর্গে। পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওইদিন সকালে হাসপাতাল মর্গে নাদিয়ার মরদেহ দেখতে যান তার মা-বাবা ও স্বজনরা। এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বাসার লোকজন নাদিয়াকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাদিয়া কথিত প্রেমিক আসিফুর রহমান ঢাকার গেন্ডারিয়া ব্যানার্জী চৌধুরী রোডের ১৪/২ বাসার আমিনুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় মোটরসাইকেল মেকানিক।

এদিকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করলেও নিহত নাদিয়ার বাবা’র দাবী আসিফ তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।

নিহতের বাবা মাসুম মিয়া বলেন, প্রায় সাড়ে ৭ মাস আগের ঘটনা। তার মেয়ে নাদিয়ার বয়স তখন ছিলো ১৭ বছর পাঁচ মাস। বর্তমানে মেয়ের বয়স ১৮ বছর চার মাস। ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করে। এরপর করোনার কারণে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হয়। এ সময় ফেসবুকের মাধ্যমে আসিফের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তার মেয়ের। এরপর নাদিয়াকে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায় আসিফ। তাদের বিয়ে হয়েছি কিনা তাও জানি না। শুক্রবার রাত ১১টায় পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই মর্গে নাদিয়ার মরদেহ পড়ে আছে।
 
তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে দাবী করে মাসুম মিয়া আরো বলেন, শুক্রবার দুপুরেও নাদিয়া তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। সে আত্মহত্যা করবে এটা মানতে পারছি না। তার মুখে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও গলায় রশির দাগ রয়েছে। নাদিয়াকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গেন্ডারিয়া থানার ওসি-তদন্ত মো. নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, হাসপাতাল থেকে নাদিয়ার আত্মহত্যার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে নিহত নাদিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তা আমলে নিয়ে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ