Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-05-13T12:43:40Z
ভ্রমণ

সিলেটে সবার নজর কেড়েছে দৃষ্টিনন্দন ‘ওয়াকওয়ে’

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট নগরীর উপশহর আবাসিক এলাকার হলদিছড়ার এলাকায় বছর দু’এক আগেও ছিলো দখলদারদের রাজত্ব। ছিলো আবর্জনার ভাগাড়। সময়ের পরিক্রমায় এটি এখন দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে। হেঁটে ক্লান্ত হলে বসার জন্য আছে ২৩টি ব্যাঞ্চ, দেখার জন্য ফুলের বাগান। 

এটি ছাড়াও প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর গোয়াবাড়ি, জল্লারপাড়, বালুচর, ও টিলাগড় এলাকা মিলে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি ওয়াকওয়ে। ইতোমধ্যে এসব ওয়াকওয়ে উন্মুক্ত হবার অপেক্ষায়।

সিসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে উপশহর এলাকায় দখলদারদের কবল থেকে হলদিছড়ার জায়গা উদ্ধার করে ১৪ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন। ৫৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও সর্বোচ্চ ৩৫ ফুট ও সর্বনিম্ন ৭ ফুট প্রশস্তের এ ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। তবে ওয়াকওয়েটি উদ্বোধনের আগেই এখন এলাকার মানুষের অবসর কাটানোর প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে। 

একই সালে নগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি ছড়া উদ্ধার লরে তারাপুর চা বাগান ঘেঁষা গোয়াবাড়ি ওয়াকওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। মোট ১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নির্মাণ শুরু হওয়া এ ওয়াকওয়ের কাজ এখনো চলমান। তবে সবুজ প্রকৃতি, নীরব পরিবেশ আর পাখির কোলাহলের কারণে ওয়াকওয়েটি ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই বিকাল হলেই এখানে ভিড় করেন বিনোদনপ্রিয় মানুষ। এ তালিকায় থাকেন সিলেটের বাহির থেকে আগত পর্যটকরাও। 

অপরদিকে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় পরিত্যক্ত জল্লা উদ্ধার করে নির্মিত হয়েছে ‘জল্লারপাড় ওয়াকওয়ে’। এতে বসার জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৫ টি ব্যাঞ্চ। নানা রঙের সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে ওয়াকওয়েটি। নির্ধারিত ব্যঞ্চ ছাড়াও জলার উপর নির্মাণ করা হয়েছে খড়কুটোর ছাতা। এর নিচে বসে খাওয়া এবং সময় কাটানোর জন্য রাখা হয়েছে বাসের ব্যঞ্চ। নিরাপত্তার জন্য লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। 

ফুলের বাগান, বসার ব্যঞ্চ ও কফিশপ নিয়ে তৈরি করা করা হয়েছে বালুচর শিল্পকলা একাডেমির পাশে গোয়ালিছড়ার উপর আরও একটি ওয়াকওয়ে। দৃষ্টিনন্দন করতে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক বাতি। হলদিছড়ার টিলাগড় অংশের ওয়াকওয়েটির কাজও প্রায় শেষের দিকে। 

সব মিলে সকল ওয়াকওয়েই মানুষের অবকাশ যাপনের সঙ্গী হবে বলে মনে করেন সিসিক কর্তৃপক্ষ। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ছড়া-খাল ও জল্লা উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে করার কারণে সিলেটের মানুষ অবকাশ যাপনের নতুন পাঁচটি জায়গা পাবেন। সবগুলো লিজ দেওয়া হবে। লিজের শর্তের মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন বোধ হলে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতাও নেওয়া হবে।’ 

নূর আজিজুর রহমান আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে উপশহর, জল্লারপাড় ও বালুচর ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ। এর মধ্যে জল্লারপাড় ওয়াকওয়ে পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষনসহ কয়েকটি শর্তে লিজ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এটি উন্মুক্ত হবে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ