Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-04-09T21:44:36Z
মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারে ১২০ টাকা চুরির অভিযোগে শিশুকে বেঁধে নির্যাতন

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : মাত্র ১২০ টাকা চুরির অভিযোগে এক শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভূয়াই বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ মিলেছে। নির্যাতনের শিকার শিশু মারুফ আহমদকে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার ভূয়াই বাজারে অধীরের দোকানে ১২০ টাকা চুরি হয়। দোকান মালিকের ছেলে অসীম তখন দোকানের সামনে থাকা মারুফ আহমদকে (১২) চোর সন্দেহে ধরে নিয়ে পাশ্ববর্তী দোকানদার মাসুক মিয়ার কাছে নিয়ে যান। সেখানে মাসুক মিয়া তার দোকানের পিলারের সাথে শিশু মারুফ আহমদকে বেঁধে মারধর করেন। এক পর্যায়ে মাসুক মিয়া ক্লান্ত হয়ে গেলে পার্শ¦বর্তী দোকানের ময়নুল ও সিএনজি অটোরিকশাচালক ফয়ছল আহমদও শিশুটিকে মারধর করেন।পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া শিশুটি উদ্ধর করে আনতে গেলে ক্ষিপ্ত মাসুক মিয়া ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেননি। পরে ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার চাচা মনফর মিয়ার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। মারুফ আহমদ স্থানীয় হাকালুকি অভয়াশ্রম বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।

মারুফ আহমদের পিতা স্থানীয় টাওয়ারের সিকিউরিটি গার্ড বদরুল মিয়া বলেন, আমাকে ছোট একটি ছেলে খবর দেয় যে, আমার ছেলেকে বেধে মারধর করা হচ্ছে। আমি সেখানে গিয়ে মারুফের এ অবস্থা সহ্য করতে না পেরে অন্য স্থানে চলে যাই, পরে আমার চাচাতো ভাই মনফর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে এসে আমার ছেলে বমি করার কারণে আমি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়ে আসি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া বলেন, আমি খবর পেয়ে গিয়ে দেখি শিশু মারুফকে বেধে রাখা হয়েছে, আমি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য বাঁধন খুলে চাচার জিম্মায় দিয়েছি। 

মারধরকারী মাসুক মিয়া বলেন, সে চুরি করেছে, সে চোর। তাকে বেঁধে রেখেছি তবে মারধর করিনি।
জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করে আসছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ