Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-05-24T16:37:47Z
সিলেট

সিলেটে বন্যার ক্ষত থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, দেখা দিয়েছে ব্লিচিং পাউডারের সংকট

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট নগরের প্রায় ৯০ ভাগ বাসাবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এসব জায়গা পানিবন্দি থাকায় চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বর্তমানে এসব জায়গায় ধোয়ামোছার কাজ চলছে।

সরেজমিন দেখা যায়, নগরের নবাব রোড এলাকার আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণিকক্ষ থেকে পানি নেমে গেছে। এখন স্কুলটি ধোয়ামোছার কাজ চলছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে গেলেও যে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। একাধিক কর্মচারী কাজে লাগানোর পরও মনে হচ্ছে বিদ্যালয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার করতে আরও দুদিন লেগে যাবে। এছাড়া পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডারও পাওয়া যাচ্ছে না।’

ঘাসিটুলা এলাকার কয়েকটি বাসাবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গৃহকর্মীরা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে ঘরের মেঝে (ফ্লোর) পরিষ্কার করছেন।

নাক-মুখ ঢেকে কাজ করা প্রসঙ্গে রেবেকা নামের এক গৃহকর্মী বলেন, দীর্ঘ এক সপ্তাহ বাসাটি পানির নিচে ছিল। পানি নেমে যাওয়ায় পর এমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যে নাক-মুখ ঢাকা রাখা ছাড়া উপায় নেই। এবারের বন্যায় দুভোর্গের কথা কোনোদিন ভোলা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন ওই গৃহকর্মী।

এ সময় ওই বাসার গৃহবধূ বলেন, ‘বাসাবাড়ি জীবাণুমুক্ত করার জন্য বেশি করে ব্লিচিং পাউডারের প্রয়োজন। তবে এলাকার ১০ থেকে ১২টি দোকান ঘুরেও ব্লিচিং পাউডার পাওয়া যায়নি। পরে বাসা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে কাজিরবাজারের একটি দোকান থেকে সামান্য ব্লিচিং পাউডার আনিয়েছি। বাজারে ব্লিচিং পাউডারের সংকট দেখা দিয়েছে।’

ওসমানী মেডিকেল রোডের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার ক্ষত পরিষ্কার করার জন্য ব্লিচিং পাউডার লাগছে বেশি। তাই দোকানগুলোতে এই পাউডারের সংকট দেখা দিয়েছে। আজ বেশ কয়েকজন ব্লিচিং পাউডারের জন্য এসেছিলেন কিন্তু দিতে পারিনি।’ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘নগরের বেশিরভাগ বাসাবাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনও নিজ নিজ বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। এভাবে পানি কমতে থাকলে আগামীকালের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খালি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ  বলেন, পানি কমতে শুরু করলেও সুরমা, কুশিয়ারায় এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে দুয়েকদিনের মধ্যেই বিপৎসীমার নিচে পানি নেমে যাবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, সিলেটের বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, শাহজালাল উপশহরে একটি পিডারের নিচ থেকে পানি নেমে গেছে। ওই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ