Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ মে, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-05-14T10:54:44Z
সিলেট

বর্ষার আগেই বৃষ্টির পানিতে সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : বর্ষার আগেই ভোগান্তি শুরু হয়ে গেছে সিলেট নগরীতে। ভারি বর্ষণে ডুবছে রাস্তাঘাট। ড্রেন ও সড়ক তলিয়ে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে নগরজুড়ে। নগর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত উন্নয়নে পরিকল্পনাহীন খোঁড়াখুঁড়িতে উন্মুক্ত রয়েছে ড্রেন, নালা-খালগুলো। ফলে বৃষ্টি হলেই ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন সড়কে। তাতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

শনিবার (১৪ মে) ভোর থেকে যেনো আষাঢ়ের বৃষ্টি নেমেছে বৈশাখের বিদায় লগ্নে। আকাশে মেঘের গর্জন থেমে নেই। দিনের বেলায় খানিকটা পর পর অন্ধকার হয়ে আসে আকাশ। নেমে আসে ভারি বর্ষণ। গত কয়েক দিন ধরে সমানতালে এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে অবিরাম বর্ষণে বিপাকে পড়েছেন সিলেটবাসী। আজ সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও খুলা ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কারণে বৃষ্টিতে ভিজে অনেক স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছতে দেখা গেছে। এতে স্তব্ধ হয়ে পড়ছে জনজীবন।

আজ সকাল থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়। দুপুর গড়াতেই নগরীর বিভিন্ন সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তারপরও থেমে থাকেনি নগরজীবন। পানি ডিঙিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। কোথাও হাটু পানি পেরিয়ে নগরীর বাসিন্দাদের পথ চলতে দেখা যায়। অব্যাহত বর্ষণে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত এমন চিত্র ফুটে উঠে। যে কারণে ছড়াখাল উদ্ধারের পরও বর্ষায় জলজট নিয়ে নতুন করে ভাবনায় নগরীর বাসিন্দারা।

বর্ষা আসার আগে জলমগ্নতা নিয়ে নগরবাসীর অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, কোটি টাকা খরচ করে ছড়াখাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপর বর্ষা আসার আগে এই বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হলে বর্ষায় এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে-এমনটি জানিয়েছেন নাইওরপুলের আখলাক আহমদ।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এ মাসে গড় বৃষ্টিপাত ৫৮১ মিলিমিটার হওয়ার কথা। সেই হিসেবে ৩২ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত মাসেও ২৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দিনের বৃষ্টিপাত রেইন ড্রপ সাইজ অনেকটা বড় ছিল এবং ভারি বর্ষণ হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা মূলত অশনির প্রভাবে। এছাড়া উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ